তাদেরকে তো মানুষ ১৯৭১ সালেই দেখেছে, জামায়াতকে নিয়ে যা যা বললেন তারেক রহমান
জনগণের ভোটে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন বিএনপিকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে তখন আমাদের প্রধান কাজ হবে দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা।’
আজ রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘কেউ কেউ বলে থাকে পলাতক স্বৈরাচার বিএনপির সম্পর্কে যেভাবে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াতো, আমরা ইদানীং লক্ষ্য করছি কিছু কিছু ব্যক্তি বা দল ঠিক একই সুরে গান গাইছে বা একইসুরে কথা বলার চেষ্টা করছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাদেরও তো দু'জন ব্যক্তি আমাদের সাথে সেইসময় সরকারে ছিল। এই দু'জন ব্যক্তি পৃথিবীতে আর নেই।’
তিনি বলেন, দুজনেই সিনিয়র মানুষ। দুজনেই সিনিয়র রাজনীতিবিদ ছিলেন তারা। তারা গত হয়েছেন। কাজেই যে মানুষ নেই তাদের সম্পর্কে অবশ্যই খারাপ কথা বলা উচিত নয়। তাদের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখেই বলতে চাই, সেই দুইজন ব্যক্তির বিএনপি সরকারে শেষদিন পর্যন্ত থাকা দুটো জিনিস প্রমাণ করে যৌক্তিকভাবে। এক তাদের অবশ্যই খালেদা জিয়ার প্রতি পূর্ণ কনফিডেন্স ছিল, খালেদা জিয়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, সেজন্যই তারা শেষ দিন পর্যন্ত ছিল।
আরও পড়ুন : বিএনপি সিঙ্গাপুর-আমেরিকা বানাতে চায় না, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে চায়: তারেক রহমান
তিনি আরও বলেন, ‘এখন তাদের দলের অন্য যে যত বড় বড় কথাই বলুক না কেন, খালেদা জিয়া শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে এবং সেই আত্মবিশ্বাস তাদের ছিল বলেই শেষ দিন পর্যন্ত খালেদা জিয়ার সরকারে ছিল। কাজেই এই কনক্লুশানে আমাদের আসতে হবে বিএনপির পক্ষেই দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব।’
জানা গেছে, ২০০৩ সালে বিএনপি জামায়াতে ইসলামীর সাথে জোট বেঁধে নির্বাচন করে জয়লাভ করে। সেসময় জামায়াতে ইসলামীর দুইজন নেতা জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় ছিল।
নির্বাচন নিয়ে জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেওয়ার প্রচারের কথা ইঙ্গিত করে তারেক রহমান, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন তিনি।
‘কিছু কিছু মানুষ বা কোনো কোনো গোষ্ঠী ইদানীং বলতে শুনেছি বা বিভিন্ন জায়গায় সোশাল মিডিয়ায় বলে, অমুককে দেখলাম তমুককে দেখলাম, এবার অমুককে দেখুন। তাদেরকে তো দেশের মানুষ ১৯৭১ সালেই দেখেছে। ১৯৭১ সালে তারা তাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে কীভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে ঠিক যেভাবে পতিত স্বৈরাচার পালিয়ে যাবার আগে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছিল ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বলেন তারেক রহমান।
একইসাথে নিজ দলের নেতা-কর্মী ও জনগণকে একাত্তরে জামায়াতে ভূমিকার কথা মনে রাখতে আহ্বান করেন তিনি।
যাদেরকে কেউ কেউ বলে যে একবার দেখুন না এদেরকে, তাদেরকে দেশের মানুষ ৭১ সালে দেখেছে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ শুধু হত্যাই করেনি, তাদের সহকর্মীরা কিভাবে মা-বোনদের ইজ্জত পর্যন্ত লুট করেছিল এই কথাটি আমাদের মনে রাখতে হবে বলেন তারেক রহমান।