১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৩৩

‘ইন্টেরিম সরকারের হাতে জুলাইযোদ্ধারা মার খায়, এ লজ্জা আমরা কোথায় রাখব?’

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান  © ফাইল ছবি

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের দিনে জুলাইযোদ্ধাদের রাস্তায় নামতে হওয়াকে ‘লজ্জাজনক ও দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরের সেনপাড়া পর্বতা ঈদগাহ মাঠে ঢাকা-১৫ আসনের এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জামায়াত আমির বলেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষরের দিনে জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতদের রাস্তায় নামতে হয়েছে। এটা জাতির জন্য লজ্জার বিষয়। ইন্টেরিম সরকারের ব্যর্থতার কারণেই তারা রাস্তায় নেমেছে। আগে তারা জালিমের হাতে মার খেয়েছে, আজ আবার ইন্টেরিম সরকারের হাতে মার খেয়েছে—এই লজ্জা আমরা কোথায় রাখব?’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, নিজেদের দায়িত্বের প্রতি সুবিচার করুন। আমরা আর জুলাইযোদ্ধাদের রাস্তায় দেখতে চাই না। অনেকের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু তাদের (জুলাইযোদ্ধাদের) দাবি ভিন্ন মর্যাদার। তাই সেটিকে বিশেষ গুরুত্বে দেখতে হবে।’

আরও পড়ুন: জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন

জামায়াত আমির অভিযোগ করেন, দেশের সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবী শ্রেণির পাশে দাঁড়াতে গিয়ে তার দল দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনতা সাক্ষী, জামায়াতে ইসলামী কখনো চাঁদাবাজ দল হিসেবে পরিচিত হয়নি। বরং নিরীহ মানুষের পাশে, ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আমাদের অনেক কর্মী সন্ত্রাসীদের হাতে আহত হয়েছেন। এগুলো নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকার কিছুই করতে পারেনি।’

এর আগে আজ সকাল ১০টার দিকে কয়েকশ ‘জুলাইযোদ্ধা’ সংসদ ভবনের বাউন্ডারি পেরিয়ে মূল অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেন এবং অতিথিদের জন্য নির্ধারিত আসনে বসে পড়েন। পুলিশ সদস্যরা তাদের সরিয়ে দিতে গেলে প্রথমে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়, পরে তা ধাক্কাধাক্কিতে রূপ নেয়।

একপর্যায়ে ‘জুলাইযোদ্ধা’ সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, অগ্নিসংযোগ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলে প্রায় ৪৫ মিনিট।

বেলা পৌনে ২টার দিকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ শেষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়। পরে জুলাইযোদ্ধাদের খামারবাড়ি, ফার্মগেট ও ধানমন্ডি–৩২ নম্বর এলাকার দিকে সরিয়ে দেওয়া হয়।