০১ জুন ২০২৫, ১১:৫০

দলের নেতাকর্মীদের প্রতি জামায়াতের আমিরের আহ্বান

ডা. শফিকুর রহমান  © সংগৃহীত

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ জন্য আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

আজ রবিবার (১ জুন) রায় ঘোষণার পর সকালে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।

পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আবারও প্রিয় সহকর্মীদের প্রতি আহ্বান—আসুন, উচ্ছ্বাস নয়, মিছিল নয়, স্লোগান নয়। নতশিরে রাব্বুল ইজ্জতের শুকরিয়া আদায় করি, তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করি এবং তাঁর নামে তাকবির পেশ করি।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের আগাগোড়া তাঁর করুণা-সিক্ত করে রাখুন। আমিন।’

এই পোস্টের আগে তিনি আরেকটি পোস্ট দেন। সে পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন-সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া ন্যায়ভ্রষ্ট রায় আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ বাতিল ঘোষণা করেছে।’

‘মহান রবের দরবারে নতশিরে শুকরিয়া আদায় করি—আলহামদুলিল্লাহ, সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।’

পূর্ণ অধিকার চেয়ে তিনি বলেন, ‘পরবর্তী প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। মহান রবের সাহায্য চাই—আমরা যেন দ্রুতই আমাদের পূর্ণ অধিকার ফিরে পাই। আমিন।’

আরও পড়ুন: ঈদে বন্ধই থাকছে রাবির হল, ছাত্রদল-শিবিরসহ শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

এর আগে রবিববার সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন-সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বাতিল করে নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

আদালতে জামায়াতের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, ব্যরিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম।

২০০৯ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি। পরে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের বেঞ্চ দলটির নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের অক্টোবরে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।