২৭ মে ২০২৫, ১৫:১৩

কে এই জামায়াত নেতা এটিএম আজহার?

আবু তোরাব মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম  © সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খালাস পেলেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। আপিল বিভাগের এই রায়ের পর জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন শিশির মনিরসহ তার আইনজীবীরা। মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করা হয়।

এই রায়ের মধ্য দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার বিচারিক প্রক্রিয়ার অবসান ঘটল।

এর আগে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।

কে এই এটিএম আজহার
আবু তোরাব মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম। তিনি ১৯৫২ সালে রংপুরে জন্মগ্রহণ করেন। রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বাটাশন গ্রামের ডা. নাজির হোসেন আহমেদের সন্তান। ঢাকার বর্তমান ঠিকানা ৫৮৬, মধুবাগ, নয়াটোলা, রমনা, ঢাকা।

আরও পড়ুন : উৎসব ভাতা না বাড়ানোয় বেসরকারি স্কুল-কলেজ কর্মচারীদের কর্মসূচি ঘোষণা

আজহারুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে ইতিহাসে এম এ সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলা, ইংরেজি, উর্দু ও আরবি ভাষায়  সমান পারদর্শী। এটিএম আজহারুল ইসলাম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রথম সভাপতি ছিলেন। মানবতাবিরোদী অপরাধে গ্রেপ্তারের আগে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন।

তিনি দৈনিক সংগ্রামের পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়া মারুফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান,  আল-আমিন ট্রাস্ট, রংপুরের ভাইস চেয়ারম্যান, তামিরুল মিল্লাত ট্রাস্ট, ঢাকার সদস্য, বদরগঞ্জ উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান, বদরগঞ্জ ইসলামী পাঠাগার ও সমাজ কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

আজহার ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-২ (তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ) আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন।

উইকিপিডিয়ার তথ্যে জানা যায়, এটিএম আজহার ১৯৯৬ সালের জুন মাসে রংপুর-২ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ৮ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট পান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির বিজয়ী প্রার্থী হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ৬৬ হাজার ৯২৯ ভোট পান।