বিএনপির সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর পর ৮ নেতা-কর্মী বহিষ্কার

রংপুরের বদরগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় আট নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রবিবার (৬ এপ্রিল) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছয়জনকে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়।
আর যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বদরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের দুই নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিএনপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য রংপুর জেলা বিএনপি ও বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার ছয় নেতা-কর্মীকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
তারা হলেন- জেলা বিএনপির সদস্য ও বদরগঞ্জ উপজেলার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন কবির মানিক, উপজেলার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল হক মানিক, মধুপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হক, কালুপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সামছুল হক এবং বিষ্ণপুর ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া।
যুবদলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ পৌর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. সুমন সরদার ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এমদাদুল হক কয়েলকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন। বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীর তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রংপুরের বদরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে সাংবাদিকসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দু’জনের মধ্যে লাবলু মিয়া (৫০) নামে একজন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় বদরগঞ্জ উপজেলায় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা ও পুলিশি টহল অব্যাহত আছে।