অল্প বয়সেই থেমে যায় সুকান্তের প্রতিভা, ছিলেন যক্ষ্মায় আক্রান্ত

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য  © সংগৃহীত

মাত্র একুশ বছর বেঁচেছিলেন কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। এ অল্প সময়ের মধ্যে মাত্র ৬ বছরের লেখালেখির জীবন তার। জীবনের এই স্বল্প সময়ে তিনি তার সৃষ্টির জন্য আজো অসম্ভব জনপ্রিয়। জন্মলগ্ন থেকেই তিনি দ্রোহের আগুন নিয়ে বেড়ে ওঠেন। তার কবিতা ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য, শোষণ, বঞ্চনা আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে ভীষণ প্রতিবাদের। 

আগুন ঝরা কবিতা উপহার দিয়ে তিনি আজো আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অসামান্য জনপ্রিয় এবং শক্তিমান কবি হিসেবে পরিচিত হয়ে আছেন। প্রতিবাদী এই কবির ৭৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৪৭ সালের ১৩ মে কলকাতায় যাদবপুর টিবি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। দুরারোগ্য যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে অল্প বয়সেই থেমে যায় এই মহাপ্রতিভা।

তার জন্ম ১৯২৬ সালের ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট কলকাতার কালীঘাটে মহিমা হালদার স্ট্রিটে মামা বাড়িতে। বাবা নিবারণ ভট্টাচার্য। মা সুনীতি দেবী। ভারতে জন্মগ্রহণ করলেও কবির আদি নিবাস গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের উনশিয়া গ্রামে।

আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্মদিন

কবির জন্ম থেকে মৃত্যুর ব্যবধান ছিল মাত্র ২১ বছরের। কবি স্বল্প সময় বেঁচে থাকলেও ছোট্ট জীবন থেকে যা উপহার দিয়ে যান তা অসামান্য। কিশোর বয়সেই তার সৃষ্ট অসংখ্য কবিতায় প্রতিবাদের যে আগুন ছড়িয়ে দিয়ে গেছেন তা আজো উত্তাপ ছড়াচ্ছে।

কবি সুকান্ত স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক অশোক কর্মকার বলেন, আগামী প্রজন্মের কাছে কবি সুকান্তকে তুলে ধরতে হলে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে কবির জন্ম এবং মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা উচিত্। শুধু বাত্সরিক একটি মেলা করে বাঙ্গালী জাতির কাছে কবি সুকান্ত্মকে তুলে ধরা সম্ভব নয়। কবি সুকান্তকে বাঙ্গালী জাতির কাছে তুলে ধরতে হলে সরকারিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ।

সুকান্ত জীবিত থাকাকালীন তার কোনো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। কেবল দৈনিক পত্রিকা, সাহিত্য সাময়িকী, সাপ্তাহিক পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল তার লেখা। মাত্র একুশ বছরের জীবনের ব্যাপ্তি, আর এর মধ্যে মাত্র ৬/৭ বছর পড়াশোনার পরিধি। মৃত্যুর পর প্রকাশিত হলো তার ৮টি কাব্যগ্রন্থ। সুকান্ত ভট্টাচার্য কেবল কবিই নন, একাধারে তিনি গীতিকার, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, সর্বোপরি একজন বহুপ্রজ সাহিত্যিক।


সর্বশেষ সংবাদ