জর্জ হ্যারিসনের ৭৯তম জন্মদিন আজ

জর্জ হ্যারিসন
জর্জ হ্যারিসন  © সংগৃহীত

বাংলাদেশের অকৃত্তিম বন্ধু সংগীতজ্ঞ জর্জ হ্যারিসনের ৭৯তম জন্মদিন আজ। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গানে গানে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের। সোচ্চার হয়েছিলেন বাংলাদেশে চলমান পাকহানাদারদের গণহত্যার বিরুদ্ধে।  ১৯৪৩ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের লিভারপুলে জন্মগ্রহন করেন দ্যা বিটলসের এই তারকা। ৭০ এর দশকের দুনিয়া কাঁপানো ব্যান্ড বিটলসের লিড গিটারিস্ট ও ভোকাল জর্জ হ্যারিসন। জন লেনন, পল ম্যাককার্টনি আর রিঙ্গো স্টারদের সাথে নিয়ে বিশ্বজয় করা এই সংগীতজ্ঞ অমর হয়ে আছেন তার সুর ও বাণীর মধ্য দিয়েই।

ষাটের দশকে হ্যারিসন আকৃষ্ট হন ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি। পন্ডিত রবি শঙ্করের কাছ থেকে শিখেন সেতার বাজানো।গুরু রবি শঙ্করের অনুরোধে ১৯৭১ সালের পহেলা আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে আয়োজন করেন কনসার্ট ফর বাংলাদেশের।

গানে গানেই জনমত গড়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশের পক্ষে। তার ‘বাংলাদেশ’ গানটি আলোড়ন তোলে সারা বিশ্বে। কনসার্ট থেকে সংগৃহীত দুই লাখ ৫০ হাজার ডলার ইউনিসেফের মাধ্যমে পাঠানো হয় বাংলাদেশের শরনার্থীদের জন্য।

আরও পড়ুন: ইউক্রেন পরিস্থিতিতে কী প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে?

১৯৬৯ সালে বিটলস ভেঙে গেলেও থেমে থাকেননি হ্যারিসন। তার জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়তে থাকে। তার 'অল থিংস মাস্ট পাস' অ্যালবাম ব্যাপক সাফল্য পায়। হ্যারিসনকে নিয়ে শুরু হয় উন্মাদনা। সংগীত জীবনে হৃদয় ছোঁয়া গিটার বাজানোর পাশাপাশি গেয়েছেন ইফ আই নিডেড সামওয়ান, ট্যাক্সম্যান, হোয়াইল মাই গীটার জেন্টলী উইপস্, হেয়ার কামস্ দ্য সান এর মত বহু কালজয়ী গান।

ধর্মবিশ্বাস সর্ম্পকে জর্জ হ্যারিসনের বক্তব্য ছিল, ‘সকল মতবাদই একটি বৃহৎ বৃক্ষের শাখা। তুমি তাকে কি নামে ডাকবে এটা কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।’

২০০১ সালে ২৯শে নভেম্বর হ্যারিসন ৫৮ বছর বয়সে মেটাস্টাটিক নন-স্মল সেল লাং ক্যান্সারে মারা যান। হলিউড ফরএভার সিমেট্রিতে তাকে দাহ করা হয়। নিকট পারিবারিক লোকেরা ভারতে হিন্দুরীতিতে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। কিংবদন্তি এই গায়ক ২০০১ সালের ২৯শে নভেম্বর ৫৮ বছর বয়সে ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যান।


সর্বশেষ সংবাদ