ঢাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন নেই আজ এক বছর

অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ
অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ  © সংগৃহীত

বরেণ্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ নেই আজ এক বছর। গত বছরের এই দিনে (১৭ জুলাই) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৮৭ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

অধ্যাপক এমাজউদ্দীন বিএনপিপন্থি হিসেবে পরিচিত হলেও পাণ্ডিত্যের কারণে দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে সম্মানিত ছিলেন। ছয় দশকের শিক্ষকতা জীবনে অগণিত শিক্ষার্থীর মাঝে জ্ঞান ও মূল্যবোধের আলো জ্বেলেছেন এ শিক্ষাবিদ। ১৯৯২ থেকে চার বছর ঢাবির উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন।

সরাসরি রাজনীতিতে যোগ না দিলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির অলিখিত উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। ২০০৬ সালে বিএনপির ক্ষমতা থেকে বিদায়ের পর সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনে বিএনপির অধিকাংশ জ্যেষ্ঠ নেতা যখন কারাগারে, দলের পক্ষে তখন সরব ভূমিকায় ছিলেন এমাজউদ্দীন।

রাজনীতির মাঠে দুর্বল হয়ে পড়া বিএনপির পক্ষে ২০১৩ সাল থেকে বলিষ্ঠ ভূমিকায় ছিলেন তিনি। বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবীদের সংগঠন 'শত নাগরিক কমিটি'র আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন আমৃত্যু।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গবেষক এমাজউদ্দীন আহমদ ১৯৩২ সালের ১৫ ডিসেম্বর অবিভক্ত বাংলার মালদহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। দেশভাগের পর স্থায়ী হন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। রাজশাহী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতক পাসের পর ভর্তি হন ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে। ১৯৫৪ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬১ সালে ঢাবি থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৭ সালে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

প্রায় আড়াই দশক ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করেন এমাজউদ্দীন আহমদ। এছাড়া তিনি ছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউডার উপাচার্য। ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় তিনি অর্ধশতাধিক বই লিখেছেন। নিয়মিত কলাম লিখতেন। জাতিসংঘের ৪১তম অধিবেশনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। ১৯৯২ সালে তিনি একুশে পদক পান। এছাড়া মাইকেল মধুসূদন দত্ত গোল্ড মেডেল, শেরেবাংলা স্মৃতি স্বর্ণপদকসহ বহু দেশি-বিদেশি পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ