অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের জন্মদিন আজ

অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান
অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান  © ফাইল ফটো

আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি। দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের ৮৫তম জন্মদিন। ১৯৩৭ সালের এইদিনে পশ্চিমবঙ্গের চবি্বশ পরগনা জেলার বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা এটিএম মোয়াজ্জেম ছিলেন বিখ্যাত হোমিও চিকিৎসক।

গত বছরের ১৪ মে বার্ধক্যজনিত, হৃদরোগ, কিডনি রোগ, প্রোস্টেট সমস্যা, রক্তে ইনফেকশনসহ নানা জটিলতা নিয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। পরে তার মৃতদেহ থেকে নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হলে জানা যায় করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত ছিলেন তিনি। ড. আনিসুজ্জামানকে আজিমপুর কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।

১৯৫৬ ও ১৯৫৭ সালে স্নাতক সম্মান এবং এমএতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন আনিসুজ্জামান। অনার্সে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার কৃতিত্বস্বরূপ 'নীলকান্ত সরকার স্বর্ণপদক' বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৬৫ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ভাষা আন্দোলন, রবীন্দ্র উচ্ছেদবিরোধী আন্দোলন, রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী আন্দোলন এবং ঐতিহাসিক অসহযোগ আন্দোলনে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। এ ছাড়া শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত গণআদালতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন।

আনিসুজ্জামানের উল্লেখযোগ্য রচনাবলির মধ্যে স্মৃতিপটে সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্মারকগ্রন্থ, নারীর কথা, মধুদা, ফতোয়া, ওগুস্তে ওসাঁর বাংলা-ফারসি শব্দসংগ্রহ ও আইন-শব্দকোষ অন্যতম। বাংলা সাহিত্যে

অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, অলক্ত পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রিতে ভূষিত হয়েছেন। সম্প্রতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা 'পদ্মভূষণ' পেয়েছেন।

২০১৮ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ সরকার অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।


সর্বশেষ সংবাদ