সংগীতশিল্পী খালিদ হোসেন আর নেই
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ মে ২০১৯, ১২:০৬ AM , আপডেট: ২৩ মে ২০১৯, ১২:২৯ AM
একুশে পদকপ্রাপ্ত খ্যাতিমান নজরুল সংগীতশিল্পী খালিদ হোসেন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) মারা যান তিনি।খালিদ হোসেনের ছেলে আসিফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৮৪ বছর বয়সী এই শিল্পী বেশ কয়েক বছর ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। কিছুদিন আগে থেকে কিডনির জটিলতা ও ফুসফুসের সমস্যাও বেড়ে গিয়েছিল তার। অবশেষে চলে গেলেন তিনি।
খালিদ হোসেনের মৃত্যুতে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এক শোকবার্তায় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, একুশে পদক বিজয়ী খালিদ হোসেন ছিলেন নজরুল সংগীতের অন্যতম প্রধান শিল্পী। তিনি ছিলেন একাধারে নজরুল গীতির শিল্পী, শিক্ষক, গবেষক ও স্বরলিপিকার। নজরুল সংগীত চর্চা, প্রচার ও প্রসারে তার অবদান অসামান্য। নজরুলের গানের মধ্য দিয়ে তিনি আজীবন এ দেশের জনগণের মাঝে বেঁচে থাকবেন।
খালিদ হোসেনের জন্ম ১৯৩৫ সালের ৪ ডিসেম্বর। তখন তারা ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগরে। দেশ বিভাগের পর মা-বাবার সঙ্গে তিনি চলে আসেন কুষ্টিয়ার কোর্টপাড়ায়। ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি স্থায়ীভাবে ঢাকায় ছিলেন।
নজরুল সংগীতের শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন দীর্ঘদিন। তিনি একুশে পদক পেয়েছেন ২০০০ সালে। এছাড়া পেয়েছেন নজরুল একাডেমি পদক, শিল্পকলা একাডেমি পদক, কলকাতা থেকে চুরুলিয়া পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা।
খালিদ হোসেনের গাওয়া নজরুল সংগীতের ছয়টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। আরও আছে একটি আধুনিক গানের অ্যালবাম ও ইসলামি গানের ১২টি অ্যালবাম।
খালিদ হোসেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ টেক্সট বুক বোর্ডে সংগীত নিয়ে প্রশিক্ষক ও নিরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। নজরুল ইনস্টিটিউটে নজরুল সংগীতের আদি সুরভিত্তিক নজরুল স্বরলিপি প্রমাণীকরণ পরিষদের সদস্য ছিলেন তিনি।