যেভাবে মার্কিন পর্যটককে বোকা বানিয়েছিলেন রানি
ভীষণ হাসি খুশি একজন মানুষ ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। মাঝে মধ্যেই কৌতুকে মেতে উঠতেন। রানির সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর পূর্ণ হওয়া উপলক্ষ্যে স্কাইনিউজে এক সাক্ষাৎকার দেন রানি ও তার সাবেক দেহরক্ষী রিচার্ড গ্রিফিন।
সে সময় মজার নানা স্মৃতি রোমন্থন করেছিলেন মহারানি।
তাঁর একটি স্মৃতি এমন ছিল যে, একবার বালমোরালের স্কটিস ক্যাসেলের কাছে একটি পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন রানি। সঙ্গে তখনকার দেহরক্ষী গ্রিফিন। দুই মার্কিন পর্বতারোহীও ঘুরতে গিয়েছেন পাহাড়ে। এদের মধ্যে একজন এগিয়ে এসে রানির সঙ্গে আলাপ শুরু করেন। তিনি সেই পর্বতারোহী আসলেই বুঝতে পারেননি তিনি কার সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি প্রশ্ন করেন, আচ্ছা আপনি কোথায় থাকেন। উত্তরে এলিজাবেথ বলেন: লন্ডনে। রানি ইচ্ছে করেই নিজের পরিচয় এড়িয়ে যান। শুধু বলেন, তিনি ৮০ বছর ধরে প্রায়ই ছুটি কাটাতে বালমোরালের নিজের শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতে আসেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির ক্যান্টিনে বেহেশতি ডাল, উট পাখির ডিম, আসল রহস্য কী?
কাছেই রাজপ্রাসাদ। সেটির উল্লেখ করে এলিজাবেথকে পযর্টক জিজ্ঞেস করেন, তিনি কখনো রানিকে দেখেছেন কিনা। জবাবে সাথে সাথেই রানি বলেছিলেন, আমি কখনো দেখিনি। কিন্তু ডিকের সাথে (রিচার্ড গ্রিফিনের ডাকনাম) তার প্রতিদিনই দেখা হয়।
সেদিন টেলিভিশনের সেই সাক্ষাতকারে রানিকে পাশে রেখে বাকি গল্পটা বলেছিলেন রিচার্ড গ্রিফিন নিজেই।
রিচার্ড জানান: আমি তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ছিলাম। আমি জানতাম, তার সঙ্গে একটু মজা করাই যায়। তাই ওই পর্বতারোহীকে আমি বলেছিলাম, রানি মাঝে মাঝে অনেক বদমেজাজী হলেও তার উপস্থিত বুদ্ধি বেশ ভালো। এ কথা শুনে পর্বতারোহী শিহরিত হন এবং আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই নিজের ক্যামেরা বের করে রানির হাতে দেন এবং আমার সঙ্গে একটি ছবি তুলে দেয়ার জন্য রানিকে অনুরোধ করেন।
রানি গ্রিফিনের সঙ্গে পর্বতারোহী দুইজনের একটি ছবি তুলে দেন। এরপর সুযোগ পেয়েই গ্রিফিন রানির হাত থেকে ক্যামেরা নিয়ে রানির সঙ্গেও তাদের একটি ছবি তুলে দেন।
এরপর গ্রিফিন আরও বলেন, রানি তাকে বলেছিলেন, আমেরিকায় গিয়ে ওই দুজন তাদের বন্ধুদের আমার ছবি দেখাবে। তখন বন্ধুরা আমার পরিচয় প্রকাশ করলে সেই পর্যটকদের অভিব্যক্তি যদি আমি দেখতে পেতাম! আমার তো ইচ্ছে করছে মাছি হয়ে উড়ে গিয়ে সেই দৃশ্যটা দেখে আসি।