১৮ আগস্ট ২০২২, ০৮:৩৫

নামাজের সময় মসজিদে বোমা বিস্ফোরণ, অনেক হতাহত

কাবুলে বোমা বিস্ফোরণ  © ফাইল ছবি

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বুধবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় নামাজের সময় কাবুলের এক মসজিদে এ বিস্ফোরণ ঘটে।

ইতালিয়ান বেসরকারি সংস্থা ইমারজেন্সি জানিয়েছে, মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইমাম সহ অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছে কয়েক ডজন মানুষ।

সংস্থাটি এক টুইটবার্তায় জানায়, বিস্ফোরণে তারা এখন পর্যন্ত আহত ২৭ জনকে পেয়েছে। এর মধ্যে ৫ শিশুও রয়েছে।

এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণস্থলে ২০ জনের মৃত্যু ও ৪০ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ তিনজনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছেন, তবে ঠিক কতজন আহত হয়েছেন, তা নিশ্চিত করেননি। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, বেসামরিকদের হত্যাকারীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এদিকে বিস্ফোরণে অনেকে হতাহত হলেও দেশটির পুলিশ কোনো তথ্য জানায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শক্তিশালী একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন তারা। বিস্ফোরণে আশপাশের ভবনের জানালাগুলো ভেঙে গেছে।

আরও পড়ুন: দিনে শিক্ষার্থী, রাতে ছিনতাইকারী

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, কাবুলের খায়ের খানা এলাকার একটি মসজিদে নামাজ চলাকালে বিস্ফোরণ হয়। বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তালেবানের এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

এরই মধ্যে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছেন।

গত বছর ক্ষমতা গ্রহনের পর  তালেবান দাবি করেছে, আফগানিস্তানে তারা নিরাপত্তা এনেছে। তবে দেশটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তাণ্ডব নিয়মিত চলছে। এর মধ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আইএসআইএল সহযোগী ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসান প্রদেশ, আইএসকেপির (আইএসআইএস-কে) তৎপরতা লক্ষণীয়।

গত সপ্তাহে কাবুলে তালেবান ধর্মীয় নেতা শেখ রহিমুল্লাহ হাক্কানি বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন। আইএসআইএল (আইএসআইএস) ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

গত জুনে আইএসকেপি কাবুলের একটি শিখ মন্দিরে হামলার দায় স্বীকার করেছে, সে ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছিল। তবে বুধবারের (১৭ আগস্ট) হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি।

২০২১ সালের আগস্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহারের সময় তালেবান ক্ষমতা দখল করে। এখনো কোনো দেশ তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।

সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা।