বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকা বরখাস্তের ঘটনায় বিকিনি পরে নারীদের প্রতিবাদ

বিকিনি পরে নারীদের প্রতিবাদ
বিকিনি পরে নারীদের প্রতিবাদ  © সংগৃহীত

ইনস্টাগ্রামে বিকিনি পরা ছবি দিয়ে ভারতের কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকার চাকরি হারানোর ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন একদল নারী। প্রতিবাদের ধরণ হিসাবে অনেক নারী বিকিনি পরে ছবি পোস্ট করছেন। আবার ‘পোশাক আমার স্বাধীনতা’ এই জাতীয় পোস্টও করছেন অনেকে।

এর আগে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষিকা ইনস্টাগ্রামে নিজের প্রোফাইলে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। প্রথমে সেই ছবি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও পরে তার অভিভাবকরা দেখেন। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তারা জমা দেন লিখিত অভিযোগ।

অভিযোগপত্রে লেখা ছিল, ‘সোশাল মিডিয়ায় অন্তর্বাস পরে শিক্ষিকার ছবি পোস্ট করা দৃষ্টিকটু ও অশালীন।’ এ অভিযোগপত্রের ভিত্তিতেই সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় ওই শিক্ষিকার কাছে জবাবদিহি চেয়ে তাকে বরখাস্ত করা হয়।

সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা একটিমাত্র সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার পরে আর কারও সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন না বিষয়টিতে আদালতে আছে বলে। আর সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় কোনও মন্তব্যই করেনি এখনও পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: বিকিনি পরা ছবি দিয়ে চাকরি হারালেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকা

ওই অপসারিত শিক্ষিকা একটি দৈনিককে বলেছেন, ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তিনি বিকিনি পরা একটি ছবি দিয়েছিলেন। সেটি কোনোভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র দেখতে পায়। ওই ছাত্রের অভিভাবকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ জানান ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

ওই শিক্ষিকা জানান তার ওই অ্যাকাউন্টটি ‘প্রাইভেট’ করা আছে, তাই সেখানে যে কেউ তার ছবি দেখতে পারে না। তার দাবি যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার অনুমতি না নিয়ে ওই ছবির প্রিন্ট আউট নেয় এবং তার সামনেই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্যদের দেখানো হয় সেটি।

বিকিনি পরে নারীদের প্রতিবাদ

ফেসবুকে নিজের সাঁতারের পোশাক পরা ছবি পোস্ট করেছেন অদিতি রায়। ‘টেক দ্যাট জেভিয়ার্স’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে তিনি ছবিটি পোস্ট করেছেন। তিনি জানান, ‘‘সমুদ্রে স্নান করার ছবি ওটা, আর সেখানে ওই পোষাকেই নামা উচিত বলে মনে হয়। আর ছবিটা দিয়ে আমি আমার প্রতিবাদটা জানালাম।’’

তিনি বলেন, ‘‘যা ঘটেছে সেন্ট জেভিয়ার্সে, তা একটা ঘৃণ্য ঘটনা। একজন শিক্ষিকা তার ব্যক্তিগত জীবনে কী করছেন, সেটা তো তার ব্যক্তিগত পরিসর। সেখানে ঢুকে পরে কোনও ছাত্র যদি শিক্ষিকার ছবি দেখে উত্তেজিত হয়, তাহলে দোষটা তো সেই ছাত্রের।’’


সর্বশেষ সংবাদ