১১ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে চীন, উত্তেজনা তুঙ্গে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের একদিন পরেই ক্ষিপ্ত চীন দ্বীপটির উপকূল-জুড়ে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া শুরু করেছে। তাতে রকেট এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ তাজা গোলাবারুদ ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) চীন তাইওয়ানের দক্ষিণ, পূর্ব এবং উত্তর উপকূলীয় জলসীমার কাছে মোট ১১টি দংফেং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানান।
এদিন তাইওয়ান অভিমুখে তাজা গোলা নিক্ষেপের মহড়াও শুরু করেছে বেইজিং। আগামী রোববার পর্যন্ত চলবে এই মহড়া।
বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত সমুদ্রপথে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন। এতে তাইওয়ান থেকে সমুদ্র ও আকাশপথে চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। জাহাজগুলো অন্য পথে যেতে বাধ্য হচ্ছে। দ্বীপের তাওয়ুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অন্তত ৫০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
বেইজিংয়ের ‘এক-চীন’ নীতি স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের সঙ্গে তাদের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। তবে দ্বীপটির সঙ্গে ভিন্ন আঙ্গিকে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলেছে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্র যদিও জোর দিয়ে বলে, তাইওয়ান সংকট কেবল শান্তিপূর্ণ উপায়েই সমাধান করা যায়। এরপরও মার্কিন আইনে তাইওয়ানকে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সরবরাহ এবং দ্বীপটিকে রক্ষায় নিজস্ব সামরিক সক্ষমতা বজায় রাখার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। তবে চীন-তাইওয়ানের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধলে হস্তক্ষেপ করবে কি না অথবা কীভাবে করবে সে বিষয়ে বরবরই ‘কৌশলগত অস্পষ্টতা’ বজা রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।