বিশ্বে তাপমাত্রা বাড়ার কারণ ‘গরুর ঢেকুর’, ঠেকাতে মাস্ক উদ্ভাবন
বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে পৃথিবীকে ধ্বংস হওয়া থেকে বাঁচাতে গরুর মুখে মাস্ক পরানো খুব অদ্ভুত কৌশল মনে হলেও এই পরিকল্পনাই রাজকীয় স্বীকৃতি পেয়েছে যুক্তরাজ্যে। সম্প্রতি রয়্যাল কলেজ অব আর্ট (আরসিএ) পরিদর্শন শেষে এমনই এক উদ্ভাবনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন প্রিন্স চার্লস। মোটা অংকের অর্থপুরস্কারও মিলেছে উদ্ভাবকদের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের খবর অনুসারে, গরুর মুখ থেকে পৃথিবীকে বাঁচানোর এই কৌশল উদ্ভাবন করেছে জেল্প নামে একটি স্টার্টআপ। তারা এমন এক প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে যা, গরুর মুখ থেকে বেরোনো মিথেনকে পানি ও কার্বন ডাই অক্সাইডে রূপান্তরিত করে বাতাসে ছড়িয়ে দেবে।
জেল্পের মতে, গরু প্রচুর পরিমাণে মিথেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করে, যে দুটি গ্যাস জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মারাত্মকভাবে দায়ী। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এই নির্গমনের ৯৫ শতাংশেরও বেশি হয় গরুর মুখ ও নাক থেকে। গরুর নাক-মুখ থেকে ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন কমানোর বিষয়ে নিজেদের আবিষ্কৃত যন্ত্রটি পরীক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যের অন্যতম বৃহত্তম একটি মাংস প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজও শুরু করেছে জেল্প।
আরও পড়ুন: দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ভারতের নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগ
যন্ত্রটি গরুর মাথার চারপাশে বসানো হবে। গরু যখন নিঃশ্বাস ত্যাগ করবে, তখন তার মুখ থেকে নির্গত মিথেন ধরে রাখবে যন্ত্রটি। সেই গ্যাস একটি অতিক্ষুদ্র কনভার্টারের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় কার্বন ডাই অক্সাইড ও জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়ে বায়ুমণ্ডলে নির্গত হবে।
জেল্পের দাবি, তাদের যন্ত্রটি মিথেন নির্গমন ৫৩ শতাংশ কমিয়ে দেয়। এর সাফল্য পরের বছর ৬০ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আশা করছে তারা।
প্রিন্স চার্লসের সাসটেইনেবল মার্কেটস ইনিশিয়েটিভের অংশ হিসেবে জেল্পের এই উদ্ভাবনকে আরও তিন বিজয়ীর সঙ্গে ৫০ হাজার পাউন্ড পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার (২৭ এপ্রিল) আরসিএ’র বিশেষ প্রদর্শনীতে জেল্পের তৈরি গরুর মাস্ককে ‘আকর্ষণীয়’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রিন্স অব ওয়েলস। বিজয়ীদের তিনি বলেছেন, আমি বোঝাতে পারবো না, রয়্যাল কলেজ অব আর্টের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি কতটা গর্বিত, বিশেষ করে, এখানকার অনেক সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীর উপস্থাপিত অসাধারণ পরিকল্পনা দেখে…অনেক অভিনন্দন, অসাধারণ।