ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২২, ০৯:০১ AM , আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২২, ০৯:০১ AM
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস। দ্রুত বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু। বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন প্রায় ৩ হাজার মানুষ। এ সময়ে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ লাখ।
২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ হয়েছে জার্মানিতে। আর প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্য। এরপরই রয়েছে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রাজিল ও ভারত। বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ কোটি ৬ লাখ। মৃতের সংখ্যা ৬২ লাখ ৪৮ হাজার।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মারা গেছেন ২ হাজার ৭৯৭ জন। আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে এক হাজারের বেশি। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ১৬ হাজার ৪ জন। নতুন শনাক্ত রোগী বেড়েছে আড়াই লাখ। এ পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৫১ কোটি ৬ লাখ ৫২ হাজার।
২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৯ জন। আর মারা গেছেন ৩০৭ জন। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনায় মারা গেছেন ৪৫১ জন। দেশটিতে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৬১১ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৫৪১ জন, মারা গেছেন ২৯০ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭ হাজার ৪৯৮ জন, মারা গেছেন ১৭০ জন। রাশিয়ায় মারা গেছেন ১৭৬ জন। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ১০৭ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৩০১ জন, মারা গেছেন ৮২ জন।
আরো পড়ুন: আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস আজ
জাপানে নতুন আক্রান্ত ২৮ হাজার ৪৯৫ জন, মারা গেছেন ৩৬ জন। থাইল্যান্ডে নতুন আক্রান্ত ১৩ হাজার ৮১৬ জন, মারা গেছেন ১২০ জন। ব্রাজিলে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৬৪ জন, নতুন সংক্রমিত হয়েছেন ২২ হাজার ১৪২ জন।
এদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ১৫১ জন, নতুন সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৬৯ জন। তুরস্কে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫১১ জন, মারা গেছেন ১৪ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৫৭৫ জন, মারা গেছেন ১৪৬ জন। গ্রিসে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৯৯৫ জন, মারা গেছেন ৪৩ জন।
এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে কানাডায় ৫৪ জন, ইরানে ২৮, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৫, হাঙ্গেরিতে ৩২, অস্ট্রেলিয়ায় ৫০, পোল্যান্ডে ২৯ ও ইন্দোনেশিয়ায় ৩০ জন মারা গেছেন।