ভিসির বাড়ির গেট ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা, ঢুকে পড়লেন সহপাঠীর মরদেহ নিয়ে
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির প্রধান গেটের তালা ভেঙে ফেলেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীরা মৃত সহপাঠীর মরদেহ নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনে ঢুকে পড়েন। এতে সহপাঠীদের সঙ্গে মৃত ছাত্রের স্বজনরাও অংশ নেন। এ বিক্ষোভের সমর্থনে রয়েছেন বিশ্বভারতীর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরাও।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে নিহত ছাত্র অসীমের সহপাঠী ও স্বজনদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনাটি ঘটার পর তাঁদের সঙ্গে কথা বলা তো দূরের কথা, দেখাও করেননি উপাচার্য।
অসীমের স্বজনরা জানিয়েছেন, ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তারা হোস্টেলে এসে পৌঁছনোর আগেই অসীমের ডেথ সার্টিফিকেটও লিখে ফেলা হয়। যেখানে ছাত্রটির স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে, সেখানে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়ে গেল কীভাবে।
এ নিয়ে এদিন বিক্ষোভ করেন মৃত ছাত্রের সহপাঠীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন তার পরিবারের সদস্যরাও। অসীমের মরদেহ নিয়ে প্রথমে শান্তিনিকেতন থানার সামনে বিক্ষোভ করেন পরিবারের সদস্যরা। এসময় সঠিক তদন্তের দাবি জানান তারা। তার পর সোজা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে উপস্থিত হন বিক্ষোভকারীরা। পরে উপাচার্যের বাড়ির সামনের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ডিঙিয়েই তালা ভেঙে ঢুকে পড়েন তাঁরা।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীতে পড়বেন?
এদিকে, এ ঘটনায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে পুলিশি তদন্তে সাহায্যের আশ্বাস দেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠভবনের উত্তরশিক্ষা ছাত্রাবাসে নিজের ঘর থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয় অসীম দাস নামে এক শিক্ষার্থীর। নানুর থানার বনগ্রামের বাসিন্দা অসীম দাস বিশ্বভারতীর পাঠভবনের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। তড়িঘড়ি তাকে বিশ্বভারতীর নিজস্ব পিয়ারসন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় ঘটনাস্থলে ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও।
চিকিৎসকরা অসীমকে মৃত বলে ঘোষণা করার পরই রীতিমত উতপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। শান্তিনিকেতন পিয়ারসন হাসপাতাল থেকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল, বোলপুর সিয়ান হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে দেহ স্থানান্তরিত করা হয়। প্রথমে মৃত ছাত্রের দেহ নিয়ে শান্তিনিকেতন থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকেরা। এসময় তারা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান।