প্রশ্নের উত্তর না বলায় পরীক্ষা শেষে বেধড়ক পেটালো বন্ধুরা
মাধ্যমিকের পরীক্ষা চলাকালীন পাশে বসা বন্ধুদের উত্তর বলে দেয়নি তাই এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠলো সহপাঠীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া কাশীরামদাস বিদ্যায়তনে।পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরেই ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই পরীক্ষার্থীর।
আহত পরীক্ষার্থীর নাম রূপম ব্রহ্ম। কাটোয়ার একাইহাট এলাকার বাসিন্দা। বুধবার দুপুরের এই ঘটনার পর কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রূপমকে। স্কুল চত্বরের মধ্যে যেভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে মারধর করা হল, তাতে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন আহত পরীক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: চুয়েটে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি, আহত ১
জানা যায়, এদিন কাটোয়া শহরে কাশীরাম দাস বিদ্যায়তন পরীক্ষাকেন্দ্রে মাধ্যমিকের ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। একমনে পরীক্ষা দিচ্ছিল রূপম। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকেই পাশে বসা কিছু পরীক্ষার্থী প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইছিল। রূপম তখন উত্তর লিখতে ব্যস্ত। স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, তার পক্ষে এভাবে উত্তর বলা সম্ভব নয়। রূপমের একথা শোনার পর হলের মধ্যেই তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
এরপর পরীক্ষা শেষে রূপম যখন বাড়ি ফিরছিল তখনই নাকি স্কুল চত্বরের মধ্যে তাকে ওই পরীক্ষার্থীরা ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে। মারধরের জেরে গুরুতর আহত হয় রূপম। তার নাক ফেটে রক্ত পড়তে থাকে। ছেলের এই অবস্থা দেখে আতকে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রূপমকে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারও কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ ইউনিয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে তার কিছু সহপাঠীর বিরুদ্ধে। তারপর ফের এমন ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ এলাকার অভিভাবকরা।
এই প্রসঙ্গে কাশীরাম দাস বিদ্যায়তনের প্রধান শিক্ষক কমলাকান্ত দাস বলেন, এমন ঘটনা কখনই কাম্য নয়। আমরা ঘটনাটি শুনেছি৷ সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষককে আমরা জানিয়েছি।