জাতিসংঘের হিসাবে ৫২ শিশুসহ ৭২৬ বেসামরিক লোকের মৃত্যু
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় এখন পর্যন্ত বেসামরিক লোক মারা গেছে ৭২৬ জন যার মধ্যে ৫২ জন শিশুও রয়েছে। জাতিসংঘের নথিতে এ তথ্য উঠে এসেছে। শুক্রবার (১৮ মার্চ) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ আপডেট প্রতিবেদনে এসব খবর উঠে আসে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জাতিসংঘ বলছে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৩০ লাখেরও বেশি লোক দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আরও ২০ লাখ লোক অভ্যন্তরীনভাবে রাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জেলেনস্কি চা-য়ে চুমুক দিয়ে চাঙ্গা হচ্ছেন ভারতীয়রা
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মোট ৪৩ টি হামলার ঘটনায় তারা নিশ্চিত হতে পেরেছেন। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টলি ব্লিনকেন দেশটিতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছে। অন্যদিকে, সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের মারিউপল ও অন্যান্য শহর থেকে প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি লোকজনকে গতকালের মধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
তবে ইউক্রেনের দাবি করা মারিউপল শহরের একটি থিয়েটার ও পুলে রাশিয়ার আক্রমণের খবরকে সত্য নয় বলে জানিয়েছে মস্কো।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনকে যেমন দেখেছিল, তা থেকে আজকের ইউক্রেন সম্পূর্ণ আলাদা। কেননা, ২০১৪ সালে রাশিয়া বিনা লড়াইয়ে ক্রিমিয়া দখল করেছিল এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন পেয়েছিল। তখন তারা অনেকটা বিনা প্রতিরোধে পূর্ব দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: কেমন ছিল এবারের বইমেলা
তিনি আরও জানান, দখলদাররা ভেবেছিল, তারা আগের ইউক্রেনে যাচ্ছে ( ২০১৪-২০১৫ সাল)। যেখানে তারা নির্ভয়ে অনৈতিক কাজ করেছিল। কিন্তু, এখন আমরা আলাদা। এ জন্যই আমরা তাদের পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রপন্থী হিসেবে পরিচিত। সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙে ইউক্রেন গঠনের পর থেকে দেশটির সরকার সবসময় রাশিয়ার অনুগত ছিলো। প্রথমবারের মতো জেলেনস্কি এই বৃত্ত থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি রাশিয়ার শত্রু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন। শুধু তাই নয়, তিনি ন্যাটোতে যোগদানের ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। এরপর ন্যাটোতে যোগদানের আলোচনার মধ্যেই গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। যুদ্ধ বন্ধে ইতিমধ্যে দুই দেশ বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসেছে। আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা আসতে পারে।