১৭ মার্চ ২০২২, ১৮:৫৮

জাতিসংঘে ‌‘ইসলামভীতি’ প্রতিরোধ দিবসের প্রস্তাব পাস

জাতিসংঘ  © সংগৃহীত

জাতিংসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক ইসলামভীতি প্রতিরোধ দিবস পালনের প্রস্তাবনা গৃহীত হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন(ওআইসি)-এর পক্ষ থেকে পাকিস্তানের প্রস্তাবনায় জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের সম্মতিতে তা গৃহীত হয়। তাছাড়া ৫৫টি মুসলিম প্রধান দেশ এ প্রস্তাবনায় সহায়তা করে।

গত মঙ্গলবার ওআইসির পক্ষে জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মুনির আকরাম ‘আন্তর্জাতিক ইসলামভীতি প্রতিরোধ দিবস’ প্রস্তাবটি উত্থাপন করে বলেন, নতুন ধরনের বর্ণবাদ হিসেবে অন্যদের মধ্যে ইসলামভীতি বাড়ছে। বৈষম্যমূলক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং পোশাকের জন্য নারীদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: আনন্দের ছলে বছরে ২ দিন র‌্যাগিং চলে ডুয়েটে

কয়েকটি সদস্যদেশ প্রস্তাবটির প্রশংসা করেছে। তবে এ প্রস্তাবের বক্তব্যে আপত্তি জানিয়েছে ভারত, ফ্রান্স এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ফ্রান্সের প্রতিনিধি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনে ইসলামভীতির প্রতিষ্ঠিত কোনো সংজ্ঞা নেই। এই প্রস্তাবে (রেজল্যুশন) অন্য ধর্মগুলো নিয়ে ভীতির কথা বলা হয়নি। ভারতের দূত বলেন, এই প্রস্তাবে হিন্দুভীতির বিষয়টি আসেনি।

সহনশীলতা ও শান্তিচর্চায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার জোরদারের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবনায় বলা হয়, মানবাধিকার ও ধর্ম-বিশ্বাসের বৈচিত্রময়তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সব ক্ষেত্রে সহনশীলতা ও শান্তির সংস্কৃতি প্রচারে বিশ্বব্যাপী সংলাপকে উন্নীত করতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

১৫ মার্চকে বাছাইয়ের কারণ- ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের একটি মসজিদে ইসলামবিদ্বেষী এক বন্দুকধারীর গুলিতে ৫১ জন নিহত হয়। ওই ঘটনা বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন তুলে। শুধুমাত্র ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে যেন কোনো মানুষকে বৈষম্যের শিকার হতে না হয়, তার দাবি তুলেন বহু নেতা।

ইসলামভীতি বা ইসলামবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়তে সকল সদস্য রাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সংস্থা, সুশীল সমাজকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।