গোপনে রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস নিচ্ছে যুক্তরাজ্য!

রাশিয়া থেকে তেল নিচ্ছে যুক্তরাজ্য
রাশিয়া থেকে তেল নিচ্ছে যুক্তরাজ্য  © সংগৃহীত

ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া। দেশটির অর্থনীতি পঙ্গু করে দেওয়ার মতো নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্যও। রাশিয়ার সব ধরনের জাহাজ ব্রিটিশ বন্দরে ভেড়ানো নিষিদ্ধ করেছে তারা। তবে বিকল্প মাধ্যমে ঠিকই রুশ তেল-গ্যাস আমদানি অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাজ্য সরকার। এ খবর দিয়েছে রয়টার্স। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার (১ মার্চ) যুক্তরাজ্যের বন্দরগুলোতে রাশিয়ার মালিকানাধীন, পরিচালিত, নিয়ন্ত্রিত, চার্টার্ড, নিবন্ধিত বা পতাকাবাহী সব ধরনের জাহাজ প্রবেশ নিষিদ্ধ করে ব্রিটিশ সরকার। অবশ্য পরে তারা বলেছে, রাশিয়া এখনো যুক্তরাজ্যে তেল-গ্যাস পাঠাতে পারে। কারণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে রুশ জাহাজের ওপর এর পণ্যের ওপর নয়।

শুক্রবার (৪ মার্চ) রিফিনিটিভ একনের শিপিং ডেটায় দেখা যায়, সিকড নামে একটি তেলের ট্যাংকার রাশিয়ার প্রিমর্স্ক থেকে কার্গো নিয়ে যুক্তরাজ্যের লিভারপুলে নোঙ্গর করেছে। এছাড়া পার্ল এলএনজি নামে আরেকটি জাহাজ ওয়েলসের ড্রাগন এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনালে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

ডেটা ইন্টেলিজেন্স প্রতিষ্ঠান আইসিআইএস’র তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, পার্ল এলএনজি গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ফরাসি জাহাজ ক্রিস্টোফ ডি মার্জেরি থেকে শিপ-টু-শিপ স্থানান্তর ব্যবস্থায় রুশ এলএনজির একটি কার্গো তুলেছিল।

আরও পড়ুন- ইউক্রেনের দুই শহরে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করলো রাশিয়া

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পার্ল এলএনজি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জার্মান ট্যাংকার সিকর্ডের ব্যবস্থাপকের এক মুখপাত্র স্বীকার করেছেন, তাদের জাহাজটি লিভারপুলের ট্রানমেরে তেল টার্মিনালে রুশ কার্গো নামাতে গেছে।

মুখপাত্রের কথায়, রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানির ওপর ইউরোপের ব্যাপক নির্ভরতাই এর কারণ। এ কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা থেকে এসব পণ্য বাদ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের দুই শহরে সাময়িক যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। দুই শহর থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য এ সুযোগ দিল রাশিয়া। এই দুই শহর হল- মারিউপোল ও ভলনোভাখা। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘হিউম্যান করিডোর’ হিসেবে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একমত হয়েছে রাশিয়া।

এর আগে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই দ্বিতীয় দফায় বৈঠক করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। বৈঠকে যুদ্ধবিরতির কোনো ঘোষণা না এলেও বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ‘মানবিক করিডোর’ নির্মাণে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। পাশাপাশি একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আগামীতে উভয়পক্ষ আবারও বসবে।


সর্বশেষ সংবাদ