ইউক্রেনে যুদ্ধের আশঙ্কায় বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ
ইউক্রেন পরিস্থিতি ক্রমশ আরও ঘোরালো হচ্ছে। আমেরিকার আশঙ্কা, যে কোনও মুহূর্তে হামলা করতে পারে রাশিয়া। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী শহর দোনেস্কের বাসিন্দারা বেশি করে নগদ অর্থ তুলে রাখছেন। যুদ্ধের শঙ্কায় দোনেস্কের স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে রাশিয়ার রোস্তভের দিকে সরে যেতে শুরু করেছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত স্বঘোষিত দোনেস্ক রিপাবলিকের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে অর্থ তোলার ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে। এটিএম থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার রুবল তোলা যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা তাস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪২ সেকেন্ডে ইউটিউবে আয় ২ কোটি টাকা!
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। দুদেশের মধ্যকার উত্তেজনার মধ্যেই এমন মন্তব্য করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। জেলেনস্কি বলেন, পুতিন আসলেই কী করতে চান তা জানতে এবং একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্যই তার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন তিনি।
রোববার রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে আলাপ করার কথা রয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর। এর আগে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন ম্যাক্রোঁ এবং তাদের বৈঠক বেশ ইতিবাচক ছিল। মূলত ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা থামাতেই তিনি এই সফর করেছেন।
এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ঠেকানো নিয়ে মার্কিন স্থানীয় সময় রোববার বৈঠকে বসছে মার্কিন নিরাপত্তা কাউন্সিল। মার্কিন স্থানীয় সময় শনিবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এমনটি জানানো হয়। হোয়াইট হাউস জানায়, মার্কিন নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে অংশ নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আরও পড়ুন: করোনার পর আসতে পারে নতুন মহামারী: বিল গেটস
অন্যদিকে রোববার ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে অস্ত্রবিরতির জন্য কাজ করতে সম্মতি জানিয়েছেন রুশ এই প্রেসিডেন্ট। ম্যাক্রোঁর সঙ্গে প্রায় ১০৫ মিনিট ধরে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় তারা চলমান সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে এবং তা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন বলে এলিসি প্রাসাদের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সংকট ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাক্ষাৎ করবেন।