করোনার পর আসতে পারে নতুন মহামারী: বিল গেটস
কোভিড-১৯ মহামারির মতো আরেকটি মহামারি শিগগিরই পৃথিবীতে আঘাত হানবে বলে সতর্ক করেছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। চলতি সপ্তাহে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সফর গিয়ে এ সতর্কতার কথা বলেন বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার বিল গেটস।
দেশটিতে পোলিও রোগ নিরাময়ে কীভাবে কাজ করা যায়, এ সম্পর্কে তিনি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সিএনবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে গেটস বলেন, করোনাভাইরাসের মতো নতুন কোনো ভাইরাস শিগগিরই পৃথিবীতে আসতে পারে। যদি চিকিৎসা ও গবেষণা খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করা হয়। তাহলে করোনার মতো ভয়াল হতে পারবে না নতুন ভাইরাস। এ কারণে গবেষণা খাতে বরাদ্দ আরও বৃদ্ধি করা উচিত।
আরও পড়ুন: ৪২ সেকেন্ডে ইউটিউবে আয় ২ কোটি টাকা!
মানুষ ভাইরাসপ্রতিরোধী হয়ে ওঠায় কোভিড-১৯ এর গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি ‘নাটকীয়ভাবে হ্রাস’ পেয়েছে বলে স্বীকার করেছেন দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।
মহামারি নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার প্রতি কৃতিত্ব দেওয়ার পরিবর্তে বিল গেটস বলেন, ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে মানুষের শরীরে এর প্রতিরোধ ক্ষমতাও তৈরি হয়ে যায়। ভ্যাকসিনের চেয়ে ভাইরাসের এই প্রবণতা বিশ্বের জনসংখ্যার মাঝে ভালোভাবে পৌঁছেছে।
তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমালোচনা করে বলেন, ‘চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বিশ্বের ৭০ ভাগ মানুষকে করোনার টিকা দেওয়ার লক্ষ্য স্বত্ত্বেও বর্তমানে ৬১.৯ ভাগ মানুষকে অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। করোনার পরে নতুন কোনো ভাইরাস আসলে যত দ্রুত সম্ভব সবাইকে টিকা দেওয়ার প্রতি জোর দেন তিনি।
এক সময় বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিল গেটস বলেন, দুই বছরের পরিবর্তে পরেরবার ছয় মাসের মধ্যে সবাইকে টিকা দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ) প্রযুক্তি সহায়ক হতে পারে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতের মহামারির জন্য প্রস্তুত হওয়ার ব্যয় বেশি হবে না। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের মতো নয়। আমরা যদি যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ করি, তাহলে পরবর্তী মহামারিকে আমরা আগেভাগেই ধরে ফেলতে পারবো।