১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:৪২

যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে প্রকাশ্যে নারী কোরআন তেলাওয়াতকারীর সংখ্যা

যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশ্যে কোরআন তেলাওয়াত নারীদের  © সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে লোকসম্মুখে নারী কোরআন তেলাওয়াতকারীর সংখ্যা। মার্কিন তরুনী মদিনা জাভেদের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নির্ভর আন্দোলন ফিমেল রিসাইটার্স। এর মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়েছে নারীদের কোরআন তেলোওয়াত। আকৃষ্ট হচ্ছেন অনেকেই। ২০১৭ সাল থেকে ফিমেল রিসাইটার্স পথচলা শুরু করে।

নারী তেলাওয়াতকারীদের বহুমুখী প্রতিভার সন্ধান দিয়েছে সামাজিক এই মঞ্চ। সামনে এনেছে, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী অনেকের পরিচয়।

ফিমেল রিসাইটার্সের প্রতিষ্ঠাতা মদিনা জাভেদ বলেন, কোরআন মানেই সুন্দর। নারী বা পুরুষ, পোশাক বা সামাজিক পরিচয়ের মাধ্যমে তেলাওয়াতকারীকে বিচার করা ঠিক না। বরং, উচ্চারণ শুদ্ধ হচ্ছে কিনা বা সঠিক অর্থ শ্রোতার কাছে পৌঁছাচ্ছে কিনা, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে, একজন নারীর তেলাওয়াত অন্য নারীকে নিঃসন্দেহে প্রভাবিত করবে।

আরও পড়ুন- তিন মাসে কোরআন হিফজ করলেন ১১ বছরের জাকারিয়া

তিনি আরও বলেন, মুসলিম নারী অধিকার জোরালো করতেই আমার এ পদক্ষেপ। কোরআন সবার জন্যেই সমান পবিত্র। তাহলে, জনসম্মুখে একজন পুরুষ ধর্মগ্রন্থ তেলাওয়াত করতে পারলে, নারী নয় কেনো? বর্তমানে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেড়েছে চর্চাটি। তবে, এখনো মসজিদ, সামাজিক অনুষ্ঠান, বিয়ে বা জানাজায় সাধারণত পুরুষরাই তেলাওয়াত করেন কোরআন।

কোরআন তেলোওয়াতে আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত আল জাহরা লায়েক হেলমি বলেন, তিন বছর বয়স থেকে কোরআন পড়া শুরু করি। পরবর্তী ১০ বছর মাকামাতের ওপর লেখাপড়া করি, বারবার চেষ্টার মাধ্যমে সুন্দর ও শুদ্ধ করতে থাকি তেলাওয়াত। ইসলাম ধর্মে নারীদের উপযুক্ত সম্মান-স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। তাহলে, লোকসম্মুখে পর্দার মাধ্যমে কেনো তেলাওয়াত করা যাবে না।

ফিমেল রিসাইটার্সের জানায়, অশুদ্ধ উচ্চারণ বা তাক্ববীরের ত্রুটির কারণে বদলে যেতে পারে কোরআনে বর্ণিত আয়াতের অর্থ। তাই- শুধু সুললিত কণ্ঠে তেলাওয়াত নয়, বরং এ বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার আহ্বান সংগঠনটির।