কাশ্মীর

৫০০ নম্বরে ৪৯৯ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম আরুসা

৫০০ নম্বরে ৪৯৯ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম আরুসা
৫০০ নম্বরে ৪৯৯ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম আরুসা  © সংগৃহীত

ভারতের কাশ্মীরে চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯৯ পেয়ে প্রথম হয়েছেন শ্রীনগরের এলাহীবাগ সৌরার বাসিন্দা আরুসা পারভেজ। জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর অ্যান্ড বোর্ড অব স্কুল এডুকেশনের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় শীর্ষস্থান দখল করা এ কৃতী ছাত্রীকে সমাজাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছে হিজাব না পরায়। -খবর আনন্দবাজার পত্রিকার

তাক লাগানো সাফল্যের পরই উপত্যকায় সবার নজরে এসেছিলেন তিনি। তার ছবিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরিবারেরও খুশির অন্ত ছিল না। নানা দিক থেকে অভিনন্দন বার্তাও আসতে থাকে। কিন্তু একইসঙ্গে সমাজমাধ্যমে অশালীন মন্তব্যের শিকার হয়েছেন আরুসা। আরুসাকে নির্লজ্জ বলে গালাগাল করে তার শিরশ্চেদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার আরুসাকে সম্মানিত করে জেলা প্রশাসন। আরুসা শ্রীনগরের ইলাহিবাগের বাসিন্দা। তাঁকে একটি ট্রফি ও ১০ হাজারের চেক দিয়ে সম্মানিত করেছেন শ্রীনগরের ডেপুটি কমিশনার মহম্মদ আজাদ আসাদ। এরপরেই তিনি সকলের নজরে আসেন।

আরও পড়ুন: মুসকানকে ঘিরে ভুয়া তথ্যের প্রচারণা

শনিবার সকাল থেকে নেট মাধ্যমে হিজাব না পরায় আরুসার বিরুদ্ধে শুরু হয় কুকথার বন্যা। নির্লজ্জ বলে দাগিয়ে দিয়ে তার শিরচ্ছেদের হুমকিও দেওয়া হয় তাকে। কর্নাটকের 'আল্লাহু আকবর' বলা সেই ছাত্রীর সঙ্গেও তুলনা করা হয় তাঁকে। তাঁর থেকে ধর্মজ্ঞান শেখার পরামর্শ দেওয়া হয় আরুসাকে।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আক্রমণের মুখে নিজের অবস্থান থেকে সরেননি আরুসা। তিনি বলেন, আমি মুসলিম। আল্লাহকে বিশ্বাস করি। ইসলামিক রীতিনীতি মেনে চলি। হিজাব পরে আমাকে ভাল মুসলিম প্রমাণের দরকার নেই। তবে তাঁর মা-বাবাকেও যেভাবে নিশানা করা হচ্ছে তাতে চিন্তিত আরুসা। তাঁর কথায়, এসব নিয়ে আমি ভাবছি না। তবে অভিভাবকদের কথা ভেবে চিন্তা হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ