০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭:৩৩

যে গ্রামে পুরুষ প্রবেশ নিষিদ্ধ তবু সন্তান জন্ম দিচ্ছে মহিলারা!

উমোজা গ্রামের নারীরা  © সংগৃহীত

গ্রামে ৩০ বছর ধরে কোনও পুরুষের প্রবেশ নেই। তা-ও সেই গ্রামে মহিলারা গর্ভবতী হয়ে পড়ছেন! বিষয়টি অবিশ্বাস্য লাগলেও আফ্রিকায় এমনই একটি গ্রাম আছে যেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।

গ্রামের নাম ‘উমোজা’ এর অর্থ ‘একতা’। ১৯৯০ সালে ১৫ নারীর যূথবদ্ধতায় যাত্রা শুরু হয়েছিল এই গ্রামের। তারা সবাই ব্রিটিশ সেনাদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। সে ঘটনার পর সেখানকার পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তাঁদের ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। অথচ তাঁদের কোনো দোষ ছিল না।

তাই তারাই উল্টো সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখান। গড়ে তোলেন পুরুষহীন এই গ্রাম। ঘন জঙ্গলের মধ্যে একটি গ্রাম গড়ে তোলেন তাঁরা। সেখানে অত্যাচারিত মহিলাদের ঠাঁই দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পুরুষদের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন: সবাই আমার সঙ্গে আছে: মুসকান

উমোজায় কোনো পুরুষের প্রবেশাধিকার নেই। ছোট্ট গ্রামটার চারদি কাঁটার বেড়া দিয়ে ঘেরা। সেটা ডিঙিয়ে কোনো পুরুষ প্রবেশ করলেই তাকে চালান করা হয় স্থানীয় থানায়। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও সেখানকার ভীষণ পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মেয়েদের কাছে সেটার মাহাত্ম্য একেবারেই অন্য রকম।

পুরুষ নেই মানে নারীর প্রতি সহিংসতা নেই, নির্যাতন নেই, ধর্ষণ নেই। আর তাই এক এক করে সেসবের শিকার নারীরা এসে যোগ দিতে থাকে তাদের সঙ্গে। বর্তমানে তাঁদের সংখ্যা প্রায় অর্ধশত। আর তাঁদের সন্তান আছে শ দুয়েক।

পুরুষদের যেখানে কোনও ভাবেই প্রবেশের অনুমতি নেই, সেখানে কী ভাবে গর্ভবতী হচ্ছেন মহিলারা? এই প্রশ্নটা স্বাভাবিক ভাবেই আসবে। না, এটা কোনও চমৎকার নয়। পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ হলেও রাতের বেলায় বহু পুরুষ চুপিসারে এই গ্রামে ঢোকেন। মহিলারা তাঁধের মধ্যে থেকে নিজেদের পছন্দের মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন। গর্ভবতী হয়ে পড়ার পর ওই পুরুষের সঙ্গে আর কোনও রকম সম্পর্ক রাখেন না তাঁরা। মহিলারা সন্তানদের জন্ম দেন এবং নিজেরাই তাঁদের লালনপালন করেন।