০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:৫২

অনুমতি ছাড়া পেন্টাগনে প্রবেশ, গ্রেফতার মুরগি

পেন্টাগন  © টিডিসি ফটো

কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে সব সময় ঢাকা থাকে পেন্টাগন। কিন্তু সেই নিরাপত্তার ফাঁক গলে ঢুকে পড়েছিল একটি মুরগি। তা নিয়েই তুমুল হইচই পড়ে যায় পেন্টাগনে। অনুমিত ছাড়া ডুকার কারণে শেষমেশ গ্রেফতারও করা হয়েছে সেই মুরগিটিকে।

পেন্টাগন এবং তার আশপাশের পরিসর নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মোড়া। কাক-পক্ষীতেও সেই নিরাপত্তার নজর এড়িয়ে ঢুকে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। যে নিরাপত্তার বেষ্টনীকে কোনও মানুষ ভাঙতে পারে না, আশ্চর্যজনক ভাবে সেই বেষ্টনীকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিব্যি পেন্টাগনের পরিসরে ঢুকে পড়ায় শোরগোল পড়ে যায়।

জানা গিয়েছে, আমেরিকার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সদর কার্যালয়ের সামনে থেকে সেই মুরগি উদ্ধার হয়েছে। একটি প্রাণী সংস্থাকে এর পর ডাকা হয়। তার পর তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘আসামি’কে। মুরগিটির একটি নামও দিয়েছেন পেন্টাগনের কর্মীরা। নাম দেওয়া হয়েছে ‘হেনি পেনি’।

আরও পড়ুন: পাঁচ দিনের চেষ্টা ব্যর্থ, কুয়াতেই মৃত্যু হলো শিশু রায়ানের

পেন্টাগন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের আর্লিংটনে অবস্থিত। এর আকৃতি পঞ্চভুজাকৃতির বলে এরুপ নামকরণ করা হয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় অফিস ভবন।

যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ প্রায় সব নেতৃত্বস্থানীয় কর্তাব্যক্তির অফিস এটি। পেন্টাগনের গুরুত্বপূর্ণ অফিসকক্ষে অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট কর্মকর্তা ছাড়া আর কেউ যেতে পারেন না। পেন্টাগনে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ বললেই চলে। এর ভিতরে ছবি তোলা ও ভিডিও করা সম্পূর্ণ নিষেধ। কেউ যদি ছবি বা ভিডিও করতে চায় তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতির প্রয়োজন হয়। পেন্টাগনের ভিতরের ছবি তাই অনেকেই দেখতে পারেন না।

শুধু সেমিনার হল এবং বিভিন্ন প্রেসের কর্মকাণ্ডের জন্য নির্দিষ্ট স্থান থেকেই এর কাজ চালানো হয়। গোপনীয়তা কাকে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান নিরাপত্তা কার্যালয়টি রয়েছে পেন্টাগনে। যুক্তরাষ্ট্রের সব প্রতিরক্ষাবিষয়ক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ধরা হয় পেন্টাগনকে। এখান থেকেই প্রতিরক্ষা বিষয়ক বাহিনীগুলোর সমন্বয় এবং বিভিন্ন গোপন সংস্থার কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। এগুলো গোপনীয় বিষয় ও সিদ্ধান্ত।