হিজাব পরায় ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ছাত্রীদের
ক্লাস রুমে শিক্ষার্থীদের হিজাব পরতে বাধা দেয়ার ঘটনায় ভারতের একটি সরকারি মহিলা কলেজে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। হিজাব পরায় ওই কলেজের ছয় শিক্ষার্থীকে ক্লাস থেকে বের করে দেয়ার ঘটনায় এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।
ভারতের কর্ণাটকের ওই সরকারি মহিলা কলেজে এমন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ছয় ছাত্রী। শনিবার বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তারা শুধু ক্লাস চলাকালীন ছাত্রীদের হিজাব খুলে রাখতে বলেছে। এছাড়া ক্লাসের বাইরে যেকোন স্থানে তারা হিজাব পরে থাকতে পারবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের গণ-অনশন শুরু
ভুক্তভোগী ছয় ছাত্রীর একজনের নাম আলমাস। বিবিসিকে তিনি জানান, ক্লাসে আমাদের কয়েকজন পুরুষ শিক্ষক আছেন। তাদের সামনে আমাদের চূল ঢেকে রাখা দরকার। সেজন্য আমরা ক্লাসে হিজাব পরি।
এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, কলেজে অচলাবস্থা সৃষ্টির পেছনে কট্টরপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠী পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার ছাত্র শাখা ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিএফআই) দায়ী। ছাত্রীদের এই ঘটনায় তারা জড়িয়ে পরায় বিষয়টি জটিল হয়ে গেছে।
তবে আলমাস জানিয়েছে, তিনি সিএফআই এর কোনো সদস্য নন। তবে হিজাব পরতে না দেয়ায় তিনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ রুদ্র গৌড়া বিবিসিকে অভিযোগ করে বলেন, ওই ছয় ছাত্রী ইচ্ছকৃত ভাবে এই সমস্যা সৃষ্টি করেছে। কলেজে আরও ৭০ জন মুসলিম শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের এই সিদ্ধান্তে কোনো আপত্তি নেই।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ থেকে উঠে এসে ২৭ বছরে প্যানেল মেয়র, জড়ালেন প্রশ্নফাঁসে
তিনি আরও বলেন, এর আগে আমাদের কলেজের প্রায় ১২ জন ছাত্রী হিজাব পরার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। তবে তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলার পর এই সংখ্যা অর্ধেকে নেমেছে।
রুদ্র গৌড়া বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেন কোনো বৈষম্য তৈরি না হয় সেজন্য কলেজে ইউনিফর্মের প্রচলন। এছাড়া ক্লাস রুমে শিক্ষার্থীদের চেহারা দেখাটাও জরুরি বলে জানান তিনি।
সার্বিক বিষয়ে কর্ণাটক রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ জানান, সামনে আমাদের নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার রাজনৈতিক শাখা জলঘোলা করতে চাইছে।