০৭ জানুয়ারি ২০২২, ২২:১৮

হাইতিতে দুই সাংবাদিককে পুড়িয়ে হত্যা

নিহত দুই সাংবাদিক  © ফাইল ছবি

ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ হাইতিতে দুর্ধর্ষ একটি ‘গ্যাং দুই সাংবাদিককে পুড়িয়ে হত্যা করছে। তারা সেখানকার দুটি গ্যাংয়ের আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়েরে খবর সংগ্রহ করতে গেলে, তাদের গুলি করে এবং জীবিত অবস্থাতেই গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: কচ্ছপ গতিতে চলছে রাবির ওয়াইফাই সেবা

খবরে বলা হয়েছে, পোর্ট-অ-প্রিন্সের পেশন-ভিলে এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে টি মাকাক গ্যাং। হামলার উদ্দেশ্য ও বিস্তারিত বিবরণ এখনো স্পষ্ট নয়। ওই ঘটনায় একজন সাংবাদিক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।

হাইতিয়ান রেডিও ইকোউট এফ এম নিশ্চিত করেছে, তাদের কর্মী জন ওয়েসলি অ্যামাডি ওই এলাকার নিরাপত্তার নিয়ে রিপোর্ট করার জন্য তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন।

এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বৃহস্পতিবার সিএনএনকে একটি বিবৃতিতে দিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এতে বলা হয়েছে, আমাডিকে সশস্ত্র দস্যুরা ‌‘নির্মমভাবে গুলি করে এবং পুড়িয়ে হত্যা করেছে।’

ওয়েসলিকে নিযুক্ত রেডিও ইকোউট এফএম-এর সাধারণ পরিচালক ফ্রাঙ্কি আটিস বলেন, "আমরা এই অপরাধমূলক এবং বর্বর কাজের কঠোরতম নিন্দা জানাই। "

তিনি আরও বলেন, ‘‘জীবনের অধিকারের ওপর গুরুতর আক্রমণ’’ এবং ‘‘সাংবাদিকরা এই দেশে অবাধে তাদের পেশা চালিয়ে যেতে না পারার” নিন্দা জানানো হয়।

হাইতির গ্যাংগুলি সম্প্রতি পোর্ট-অ-প্রিন্সের দরিদ্র এলাকায় ছাড়িয়ে পড়ে তাদের আধিপত্য বিস্তারের নেশায় মেতেছে।

প্রসঙ্গত, ছয় মাস আগে, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জোভেনেল মোইসেকে পোর্ট-অ-প্রিন্সে তার ব্যক্তিগত বাসভবনে হত্যা করা হয়। হাইতিয়ানরা প্রতিদিন যে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সংকট নিয়ে কাজ করেন তা আরও খারাপ হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: নতুন যেসব বিষয় পড়ানো হবে স্কুলে

২০২১ সালে হাইতিতে কমপক্ষে ৯৫০টি অপহরণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। সেন্টার ফর অ্যানালিসিস অ্যান্ড রিসার্চ ইন হিউম্যান রাইটস পোর্ট-অ-প্রিন্সে অবস্থিত। ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে হাইতির পুলিশ এই দলগুলোর বিরুদ্ধে কোনো বড় আকারের অভিযান চালায়নি।

২০০০ সালের এপ্রিল মাসে দ্বীপরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিখ্যাত প্রতিবেদক হাইতির সাংবাদিক জিন ডমিনিকের হত্যার বিষয়টি এখনো অমীমাংসিত। ২০১৯ সালের জুন ও অক্টোবর মাসে আরও দুই সাংবাদিকের হত্যার তদন্তও শেষ হয়নি।