বিশ্বের প্রবীণতম নারী কিন তানাকার ১১৯তম জন্মদিন উদযাপন
বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণতম ব্যক্তি জাপানের কিন তানাকা। রোববার জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কিউশু দ্বীপের উত্তরাঞ্চলীয় ফুকুয়োকা শহরের একটি নার্সিং হোমে নিজের ১১৯তম জন্মদিন উদযাপন করলেন তিনি।
সোমবার (৩ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
আরও পড়ুন:সোমবার থেকে ২য় ডোজের টিকা পাবে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
কিন তানাকার ফিজি ড্রিংকস ও চকলেটের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে। নার্সিং হোমের কর্মীদের সঙ্গে রোববার নিজের জন্মদিন পালন করেন এই নারী। অংকের প্রতি কিন তানাকার আগ্রহ বেশি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ২০১৯ সালের মার্চে তানাকাকে বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তির স্বীকৃতি দেয়। তখন তার বয়স ছিল ১১৬ বছর। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ১১৭ বছর ২৬১ দিনে পৌঁছে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষের রেকর্ড অর্জন করেন তিনি। তানাকার জন্ম ১৯০৩ সালে। তানাকা তার জীবদ্দশায় জাপানে পাঁচটি সাম্রাজ্যের রাজত্ব দেখেছেন।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম কিয়োডো জানিয়েছে, এখন ১২০তম জন্মদিনে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন তিনি। এ রেকর্ডটি আরও এক বছর বাড়ানোর ব্যাপারে নিজের জোরালো আশাবাদের কথাও জানিয়েছেন তানাকা।
প্রবীণ দিবসের জন্য বার্ষিক সম্মাননার আগে গত সেপ্টেম্বরে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দেশটিতে রেকর্ড সংখ্যক ৮৬ হাজার ৫১০ জন শতবর্ষী মানুষ রয়েছেন। এ সংখ্যা আগের বছরের থেকে ছয় হাজার ৬০ বেশি।
আরও পড়ুন:দু’পক্ষের মারামারিতে আহত লেখক, ব্যান্ডেজে দলীয় পতাকা বেঁধে উঠলো মঞ্চে
কিন তানাকার নাতির মেয়ে জুনকো তানাকা টুইটারে লিখেন, 'বিশাল প্রাপ্তি। (কানে তানাকা) ১১৯ বছরে পৌঁছেছেন। আশা করি, তিনি আনন্দের সঙ্গে জীবন কাটাবেন।' পোস্টে তিনি কিন তানাকার ২টি ছবিও জুড়ে দেন।
কিন তানাকা তার জীবনে অনেক ঘটনা দেখেছেন। তার চোখের সামনে ঘটে গেছে ২টি বিশ্বযুদ্ধ। ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির পর তিনি চলমান বৈশ্বিক করোনা মহামারিও দেখলেন।
১৯০৩ সালে জন্ম নেওয়া কিন তানাকার বিয়ে হয় ১৯ বছর বয়সে। তার স্বামী ছিলেন চালের দোকানদার। কানে তানাকা ১০৩ বছর বয়স পর্যন্ত সেই দোকানে কাজ করেছিলেন।