২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫:৫৯

পিয়নের চাকরির জন্য আবেদন পিএইচডি ডিগ্রিধারীর!

চাকরিপ্রার্থী  © সংগৃহীত

বেকার সমস্যা প্রকট হয়েছে ভারতের মধ্য প্রদেশে। বাধ্য হয়েই স্নাতক পাশ করা অনেকেই এখন পিয়নের চাকরিতে আবেদন করছেন। আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন স্নাতকোত্তর, ইঞ্জিনিয়ারিং ও এমবিএ ডিগ্রিধারীরাও। এখবর দিয়েছে এনডিটিভি।

সরকারি হিসাবে, মধ্যপ্রদেশে বেকারের সংখ্যা ৩২ লাখ ৫৭ হাজার ১৩৬। রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরে শূন্য পদের সংখ্যা ৩০ হাজার ৬০০, স্বরাষ্ট্র দপ্তরে ৯ হাজার ৩৮৮, স্বাস্থ্য দপ্তরে ৮ হাজার ৫৯২ ও রাজস্ব দপ্তরে ৯ হাজার ৫৩০টি। সব মিলিয়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে শূন্য পদের সংখ্যা এক লাখ।

আরও পড়ুন- ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা, রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ কাল

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে ১৫টি শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। এসব পদের মধ্যে ছিল পিয়ন, গাড়িচালক ও ওয়াচম্যান। আর এতে আবেদনকারীর সংখ্যা ১১ হাজার। গত শনি ও রোববার এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেখা যায় পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে তরুণ চাকরিপ্রত্যাশীদের ভিড়। চাকরিপ্রার্থীরা যে কেবল মধ্যপ্রদেশের তা নয়, বরং প্রতিবেশী রাজ্য উত্তর প্রদেশ থেকেও এসেছিলেন পরীক্ষায় অংশ নিতে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতা ছিল দশম শ্রেণি পাস। কিন্তু আবেদনকারীদের মধ্যে অনেকে ছিলেন স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ইঞ্জিনিয়ারিং ও এমবিএ পাস। এমনকি দেশটির সিভিল জাজ পদের প্রার্থীরাও এই পিয়ন, গাড়িচালক ও ওয়াচম্যান পদের পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।

আরও পড়ুন- নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে জাককানইবি না বলার আহ্বান উপাচার্যের

এ পরীক্ষায় অংশ নিতে এসেছিলেন অজয় বাঘেল নামের এক প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘আমি সায়েন্স গ্র্যাজুয়েট। আমি পিয়ন পদের জন্য আবেদন করেছি। যারা পিএইচডি করেছেন, তাদের অনেকেই এ চাকরির জন্যও আবেদন করেছেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, সবাই সরকারি চাকরি চায়। কিন্তু সবাইকে তো আর সরকারি চাকরি দেওয়া সম্ভব হবে না।