শীতে কাঁপছে ভারত

উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রচণ্ড শীত থেকে বাচঁতে লোকজন আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছে
উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রচণ্ড শীত থেকে বাচঁতে লোকজন আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছে  © সংগৃহীত

শীতে কাঁপছে ভারতের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমের জনপদগুলো। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে থাকায় দেশটিতে এমন প্রচণ্ড শীত পড়ার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দেশটির রাজধানী দিল্লিতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।

অবশ্য আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামি কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।

রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি কলকাতা, কাশ্মির, দিল্লি, রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের একাংশে গত কয়েক দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা নিচে নেমে গেছে।  এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শৈত্যপ্রবাহের কারণে এই ঠাণ্ডা পড়েছে। পশ্চিম থেকে ঠাণ্ডা হাওয়া ঢোকার প্রভাবে অমৃতসার ও পাঞ্জাবে তাপমাত্রার পরিমাণ নিচে নেমে শূণ্যের কাছাকাছি চলে গেছে।

আরও পড়ুন: রোববার থেকে শুরু শৈত্যপ্রবাহ

কয়েকদিন ধরেই জম্মু-কাশ্মিরের শ্রীনগরে রাতের তাপমাত্রা মাইনাস ৫ ডিগ্রিতে পৌঁছে যাচ্ছে। পাহেলগামে তা নেমেছে মাইনাস ৭.৪ ডিগ্রিতে। লাদাখে তা ইতোমধ্যেই পৌঁছেছে মাইনাস ১৯ ডিগ্রিতে। হিমাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ অংশও ঢেকেছে বরফে। আর কলকাতায় তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে হাড়-কাঁপুনি শীতে দেশটির উল্লিখিত স্থানগুলোতে লোকজন কাবু হয়ে পড়েছেন। শীত নিবারণে তাদের রাস্তার পাশে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে। 

ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গতকাল থেকেই বইছে শৈত্যপ্রবাহ। এটি আরও দুইদিন স্থায়ী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে দেশের আট জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। এ ছাড়া আরও ৮ জেলার তাপমাত্রা এখন ১০ ডিগ্রির কাছাকাছি। গড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৬ থেকে ৭ ডিগ্রিতে আছে।

আরও পড়ুন: কাল থেকে শৈত্যপ্রবাহ, ৬ ডিগ্রিতে নামতে পারে তাপমাত্রা

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা এবং বরিশাল অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

তারা আরও জানিয়েছে, দেশে চলমান এই শৈত্য প্রবাহ আরও কিছুদিন স্থায়ী হতে পারে এবং তা বাড়তেও পারে।


সর্বশেষ সংবাদ