ঘুরে আসুন রাজকীয় বরফ হোটেল
বরফ হোটেল। হুম, ঠিকই শুনেছেন। যাবেন নাকি বরফ হোটেলে। নাকি শুনেই জমে যেতে শুরু করেছেন। না, এখনই গরম কাপড় পরার প্রয়োজন নেই। কারণ রাজকীয় এই বরফ হোটেলে থাকতে হলে আপনাকে যেতে হবে সুইডেনে। দৃষ্টিনন্দন এই হোটেলকে ইতোমধ্যেই ভ্রমণপিপাসুরা বিশ্বের সেরা হোটেলের তকমা দিয়ে দিয়েছেন।
বরফ হোটেলের প্রতিটি কোণই রাজকীয় স্পর্শ পেয়েছে। অনেকটা রাজপ্রাসাদের মতো করে সাজানো হয়েছে এর অন্দর। বিশ্বের প্রথম এই বরফ হোটেলটি প্রিন্স কার্ল ফিলিপ বার্নাডোট এবং তার ব্যবসায়িক অংশীদার অস্কার কিলবার্গ ডিজাইন করেছিলেন। সম্প্রতি হোটেলটির ‘মিডসামার নাইটস ড্রিম’ নামে নতুন স্যুট দশনার্থীদের জন্য উন্মোক্ত করা হয়েছে। স্যুটটিকে সাজানো হয়েছে নানারকম ফুল এবং গাছপালা দিয়ে। এই আইকনিক হোটেলটি জুক্কাসজারভির আর্কটিক সার্কেল থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। স্যুটটির দেয়ালগুলি রঙিন ফুল এবং প্রাণীবৈচিত্রে ভরা। সেই সঙ্গে বরফের খণ্ডে সজ্জিত। হোটেলের ঘরে সিলিং থেকে ঝুলছে বরফের ঝাড়বাতি।
আরও পড়ুন- মেধাতালিকায় প্রথম দিকে থেকেও ভর্তির সুযোগ বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা
বার্নাডোট এবং কিলবার্গ বলেছেন, তারা এমন একটি হোটেল তৈরি করার লক্ষ্য রেখেছিলেন যেখানে মানুষ এসে তার জীবনের সেরা ছুটির দিনগুলো উপভোগ করতে পারে। আর্কটিক পরিবেশে সুইডিশ ফুলের সৌন্দর্য স্বর্গীয় সুখের থেকে কোনো অংশে কম নয়। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ''স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে হোটেলটির পরতে পরতে। নতুন এই স্যুটটিতে এলে সেই মনোরম পরিবেশের সাক্ষী হতে পারবেন অতিথিরা।
হোটেলটিতে ১২টি আর্ট স্যুট, ২৪ টি আইস রুম এবং একটি আনুষ্ঠানিক হল রুম রয়েছে। হোটেলটি তৈরি হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। এরপর থেকে প্রতি শীতেই এটিকে নতুন করে সাজানো হয়। তবে এবারের নতুন যোগ হয়েছে এই 'মিডসামার নাইটস ড্রিম'।
সৌর-চালিত কুলিং প্রযুক্তিতে তৈরি হোটেলটি সারা বছর খোলা থাকে। হোটেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, রুমের ভিতরের তাপমাত্রা মাইনাস ৫ থেকে মাইনাস ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখা হয়। সন্ধ্যা ছয়টা বাজতেই অতিথিরা ঢুকে পড়তে পারবেন ঘরগুলিতে। হোটেলটির রুমে ঘুমানোর জন্য দেওয়া হয় বিশেষ ধরনের স্লিপিং ব্যাগ।
আরও পড়ুন- গবেষণার জন্য বুয়েট শিক্ষকদের বিশাল সুখবর
কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে কীভাবে টিকে থাকতে হবে, তা আগে থেকেই শিখিয়ে দেওয়া হয় অতিথিদের। তবে কারোর যদি খুব শীত লাগে তাহলে উষ্ণ পরিবেশে ফিরে যাওয়ার বিকল্প ব্যবস্থাও রয়েছে এই হোটেলে।
সুইডেনের আইস হোটেল চালুর পর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আরো বেশ কয়েকটি বরফের হোটেল নির্মিত হয়েছে। বরফ হোটেলগুলোর মধ্যে কানাডার হোটেল ডি গ্লেস, রোমানিয়ার হোটেল অব আইস অন্যতম।