ভোটে জিতে সালিশে গিয়ে স্কুলছাত্রীকে বিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের

শাহিন হাওলাদার
শাহিন হাওলাদার  © সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে পটুয়াখালীর বাউফলের কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন শাহিন হাওলাদার। গত সোমবার (২১ জুন) নির্বাচনের পর ওই ইউনিয়নের দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার চার দিন পর শুক্রবার (২৫ জুন) প্রেমের সম্পর্ক মেটাতে সালিশে গিয়ে এক কিশোরীকে পছন্দ করেন তিনি। আর ওই দিনই তিনি ১৬ বছরের ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন।

শাহিন হাওলাদারের ৬০ বছর বয়সে ১৬ বছর বয়সের এক কিশোরীকে বিয়ের ঘটনাটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।  টক অব দ্যা উপজেলায় পরিণত হয়। আলোচনার খোরাকে পরিণত হন তিনি। শাহিন হাওলাদার ২১ জুন অনুষ্ঠিত কনকিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা মার্কা নিয়ে দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এটি চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় বিয়ে। দুই সন্তানের জনক চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের বড় ছেলে বিয়ে করেছেন স্থানীয় বিএনপির সাবেক এমপি সহিদুল আলম তালুকদারের এক শ্যালিকাকে।

জানা গেছে, কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়ণপাশা গ্রামের  রমজান (২৫) নামের এক যুবকের সাথে একই ইউনিয়নের চুনারপুল এলাকার  নবম শ্রেণির ছাত্রী  নছিমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি নছিমনের বাবা নজরুল ইসলাম। তিনি এ বিষয়টি কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানান।

চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার শুক্রবার ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠক ডাকেন। ওই বৈঠকে রমজান ও নছিমনসহ দুই পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সালিস বৈঠকে মেয়ে দেখে পছন্দ হয়ে যাওয়ায় তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। মেয়ের বাবা এ বিয়েতে সম্মতি প্রকাশ করলে ওই দিন বাদজুমা চেয়ারম্যানের আয়লা বাজারস্থ বাসায় কাজী ডেকে এনে ৫ লাখ টাকা কাবিনে নছিমনকে বিয়ে করেন।

নছিমন কনকদিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, ওই কিশোরীর বয়স ১৫-১৬ বছর হবে।

এ ব্যাপারে শাহিন হাওলাদার বলেন, মেয়েটিকে দেখে আমার পছন্দ হওয়ায় তাকে বিয়ে করেছেন। এছাড়া আমার বিয়ে প্রয়োজন ছিল।


সর্বশেষ সংবাদ