আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪ জনের মৃত্যু, সন্দেহে করোনার আরেকটি প্রজাতি
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১১ মে ২০২১, ০৯:৫৩ PM , আপডেট: ১১ মে ২০২১, ০৯:৫৩ PM
আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকসহ ৪৪ জন কর্মীর কোভিডে মৃত্যুর পিছনে করোনার কোনও ভয়াল প্রজাতিই দায়ী। এমনটাই মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সন্দেহ নিরসনে মৃতদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ‘জিনোম সিকোয়েন্সিং’ করার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
সম্প্রতি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মেডিসিন, মনোবিজ্ঞানসহ একাধিক বিভাগের ১৯ জন অধ্যাপক এবং ২৫ জন কর্মীর করোনা সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয়েছে। এরপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার আশপাশের এলাকায় করোনার অন্য কোনও প্রজাতির সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে মত উপাচার্য তারিক মনসুরের।
এ বিষয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চকে (আইসিএমআর) চিঠিও লিখেছেন তিনি। চিঠিতে তারিকের দাবি, ‘আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার আশপাশের এলাকায় করোনার কোনও নির্দিষ্ট প্রজাতির সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে সন্দেহ হচ্ছে’।
ওই চিঠির পাশাপাশি পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে দিল্লির ইনস্টিটিউট অব জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটিভ বায়োলজিতে। দিল্লির কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের অধীনস্থ ওই গবেষণাকেন্দ্রে নমুনার জিনের জিনোম সিকোয়েন্সিং খতিয়ে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৯টি হোস্টেলে থাকেন ১৬ হাজার জন। এমনকি, সংক্রমণের প্রথম পর্বে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও তাঁদের বেশ কয়েকজন হোস্টেলেই থেকে যান। তবে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে চলাকালীন মাত্র ৫০-৬০ জনই হোস্টেলে রয়েছেন।
সালমান কামার নামে এক গবেষক বলেন, ‘গবেষণাপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতায় ওই ৫০-৬০ জনকে হোস্টেলে থাকতে হচ্ছে। তবে প্রায় প্রতিদিনই শিক্ষার্থীদের মা-বাবা ফোন করে তাঁদের বাড়ি ফিরে আসতে বলছেন।’ খবর: আনন্দবাজার।