ইংল্যান্ডের স্কুল সঙ্গীতের পাঠ্যক্রমে বলিউডের ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’!

মুন্নি বদনাম হুয়ি গানের দৃশ্য
মুন্নি বদনাম হুয়ি গানের দৃশ্য  © সংগৃহীত

ইংল্যান্ডে ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশনের (ডিএফই) নতুন সঙ্গীত পাঠ্যক্রমের গাইডেন্সে অন্তর্ভুক্ত হল বলিউডের চার্টবাস্টার গান ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’। এছাড়াও আছে কিশোরী আমনকরের ‘সহেলি রে’, অনুষ্কা শঙ্করের ‘ইন্ডিয়ান সামার’, এআর রহমানের ‘জয় হো’। ভারতীয় সঙ্গীতের উল্লেখযোগ্য অংশ হিসাবে এ গানগুলি পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

পিটিআই জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যজুড়ে ১৫ জন বিশেষজ্ঞের একটি প্যানেল এ সিলেবাস তৈরি করেছেন। আধুনিক ব্রিটিশ সমাজের উচিত বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের সঙ্গীতের ধরন বুঝে নেওয়া। বিশ শতকে কিশোরী আমনকার ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অন্যতম প্রধান কণ্ঠশিল্পী ছিলেন। সঙ্গীত সম্পর্কে তাঁর বক্তব্যটি ছিল আধ্যাত্মিকভাবে পরিপূর্ণ।

তিনি বলেছিলেন, ‘আমার কাছে সঙ্গীত আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে কথোপকথন, যা এই বিশ্ব চরাচরের সঙ্গে সূত্র স্থাপনে সাহায্য করে।’ রবি শঙ্কর এবং অনুষ্কা শঙ্করের যন্ত্রসঙ্গীতও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ বলে এ স্কুলের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা আছে।

২০১০ সালের জনপ্রিয় ছবি ছিল দাবাং। নায়কের ভূমিকায় সেখানে অভিনয় করেছিলেন সলমন খান। ছবির সঙ্গে সঙ্গে গানগুলোও দর্শকদের মন জয় করে। যার মধ্যে অন্যতম ছিল মালাইকা অরোরা অভিনীত আইটেম সং ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’। এ গানের অন্তর্ভুক্তি কেন করা হল সেই সম্পর্কে অবহিত করার সময়ে গাইডেন্সে বলা হয়েছে, ‘বলিউডের ছবিতে আইটেম গানের গুরুত্ব আছে।’

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এই গান তার সঙ্গীতের দ্রুত লয়, মন ভোলানো দৃশ্যপট এবং লাস্যময়ী নাচের জন্য দর্শকদের মনে গেঁথে গিয়েছে।  ডিএফই জানিয়েছে, এর মডেল সংগীত পাঠ্যক্রমটি প্রতি বছর গ্রুপে কী শেখানো যেতে পারে তার একটি কাঠামোগত রূপরেখা সরবরাহ করে। এটি শিক্ষকদের পাঠ পরিকল্পনা করা এবং কাজের চাপ হ্রাস করতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পরিকল্পনার অংশ হিসাবে কেস স্টাডি সরবরাহ করা হয়, যাতে শিক্ষকরা ব্যবহারিক উপায়ে জ্ঞান, দক্ষতা এবং ছাত্রছাত্রীদের বোধগম্যতার সমন্বয় সাধন করতে পারেন। এমন একটি গান বাছা হয়েছে মিউজিকের পাঠ্যক্রম হিসেবে, সেটা শুনে আনন্দে ভাসছেন মালাইকা। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে আনন্দ ভাগাভাগিও করেছেন পর্দার মুন্নি। খবর: নিউজ১৮।


সর্বশেষ সংবাদ