আজানের শব্দে ঘুমোতে না পেরে জেলাশাসককে চিঠি দিলেন ভিসি

উপাচার্য সঙ্গীতা শ্রীবাস্তব
উপাচার্য সঙ্গীতা শ্রীবাস্তব  © ফাইল ফটো

ভোরের আজানের শব্দে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। সারাদিন মাথা যন্ত্রণা। কাজ করতে পারছেন না। এক বিতর্কিত চিঠিতে ‌এমনই লিখলেন ভারতের এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Allahabad University) উপাচার্য সঙ্গীতা শ্রীবাস্তব। অভিযোগ পত্রটি তিনি জমা দিয়েছেন জেলাশাসক ভানুচন্দ্র গোস্বামীকে। জেলাশাসক জানিয়েছেন আইন মেনেই তিনি ব্যবস্থা নেবেন।

উপাচার্য সঙ্গীতা শ্রীবাস্তব জেলাশাসকের কাছে লেখা ওই চিঠিতে আরও জানিয়েছেন, সাড়ে ৫টায় আজানে ঘুম ভাঙে। আজান থেমে গেলেও ঘুম আর আসে না। মাথা ধরে থাকে। আর তারই প্রভাব পড়ে সারাদিনের কাজে। তবে তার চিঠিতে তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তিনি কোনো ধর্মের বিরোধী নন। কিন্তু রমজানের সময় ভোর চারটে থেকে মসজিদের মাইকে যেভাবে ঘোষণা শুরু হয়ে যায়, তাতে এলাকার মানুষদের অসুবিধা হয়। মাইক না বাজিয়ে আজান দেওয়ার পক্ষপাতি তিনি।

এই অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। উপাচার্যের অভিযোগকে সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মুখপাত্র মণীশ শুক্লা। তার কথা,’দেশের সংবিধান ও আইন প্রত্যেককেই অধিকার লঙ্ঘিত হলে প্রতিবাদের অধিকার দিয়েছে।’
এদিকে সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র অনুরাগ ভাদোরিয়া আবার কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপিকে। তার অভিযোগ, যে দিন থেকে বিজেপি এখানে ক্ষমতায় এসেছে, সব ইস্যুর সঙ্গেই জাতপাত ও ধর্মকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।’

প্রয়াগরাজ পুলিশের ডিআইজি কবিনদ্র প্রতা সিং জানিয়েছেন, তারা এমন একটি চিঠি পেয়েছেন। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী, রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কোনো ঘোষণা করা যায় না। করতে গেলে বিশেষ অনুমতি লাগে। এ ক্ষেত্রে অনুমতি না থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে কর্ণাটকের য়াকফ বোর্ড ইতিমধ্যেই রাজ্যের সর্বত্র রাত দশটা থেকে সকাল ছ’টার মধ্যে মসজিদ ও দরগায় আজানের সময় মাইকের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শব্দদূষণ রোধ করতেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


সর্বশেষ সংবাদ