ভুয়া খবর বোঝার তিনটি উপায়
- ডয়েচ ভেলে
- প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২০, ০৩:১৫ PM , আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৪:০৪ PM
বর্তমানে সব শ্রেণীর মানুষের কাছে অবাধে বিভিন্ন খবর ও তথ্য পৌঁছে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এটিকে সহজসাধ্য করে দিয়েছে। তবে বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে ভুয়া খবর। আমাদের অজান্তে এসব ভুয়া তথ্য বিরাট ক্ষতি করে বসে।
সম্প্রতি করোনা ভাইরাস নিয়ে ছড়ানো ভুয়া তথ্যের কারণে বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে ৮০০ জন বা তার চেয়েও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে ‘অ্যামেরিকান জার্নাল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন’-এ প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে।
ফলে সামাজিক মাধ্যমে খবর বা তথ্য শেয়ারের আগে সবার একটু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। আপনি সচেতন হলে ভুয়া তথ্য থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সহজে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া তথ্য চেনার কয়েক পন্থা জেনে নিই-
তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুন
ভুয়া তথ্য ও খবর দ্রুত খুঁজে পাবার উপায় জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের ফ্যাক্ট-চেকিং ওয়েবসাইট ‘ফুল ফ্যাক্ট’৷ ফেসবুকে কিছু শেয়ারের আগে নিজেকে তিনটি প্রশ্ন করার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
প্রথম প্রশ্ন: খবরটি কে দিয়েছে?
প্রথমে নিজেকে এই প্রশ্নটিই করুন। সূত্র বিশ্বস্ত না হলে সেটা শেয়ার করবেন না। আর সূত্র নতুন হলে তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন।
দ্বিতীয় প্রশ্ন: কী যেন নেই?
লিংকে ঢুকে পুরো খবরটা পড়ুন। ছবি, ব্যবহার করা নম্বর, কারও মন্তব্য এসব খেয়াল করুন। অনেক সময় সূত্রের উল্লেখ না করে মন্তব্য ব্যবহার করা হয় কিংবা কনটেক্সট ছাড়াই মন্তব্য দেয়া হয়। খবরের সঙ্গে থাকা ছবি কিংবা ভিডিও ভুয়া হতে পারে৷ ভিডিওতে ব্যবহৃত কণ্ঠ পরিবর্তিত থাকতে পারে।
তৃতীয় প্রশ্ন: খবরটি পড়ার পর আপনি কেমন অনুভব করছেন?
যারা ভুয়া খবর ছড়ায় তারা মানুষের অনুভূতি নিয়ে খেলতে চায়। তারা জানে আপনাকে রাগিয়ে তুলতে পারলে কিংবা চিন্তিত করতে পারলে আপনি খবরটিতে ক্লিক করবেন। তাই শেয়ারের আগে নিজের অনুভূতিটা জানার চেষ্টা করুন। ভাল অনুভব করলে শেয়ার করুন। আর খটকা লাগলে অন্যান্য সূত্র দেখে যাচাইয়ের চেষ্টা করুন।
ফ্যাক্ট-চেকিং ওয়েবসাইট
ভারতের ফ্যাক্ট-চেকিং ওয়েবসাইট ‘বুম লাইভ’কে বাংলাদেশের ফেসবুক কমিউনিটিতে বিদ্যমান ছবি ও ভিডিওর যথার্থতা পর্যালোচনার দায়িত্ব দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ১৯ এপ্রিল থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে। www.boombd.com/ ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ফেসবুকেও (https://www.facebook.com/Boombangladeshnews) তাদের কাজ দেখা যায়।
বিডি ফ্যাক্ট চেক
২০১৭ সালে কাজ শুরু করে এই ওয়েবসাইট (https://bdfactcheck.com/)। ফেসবুকেও তাদের একটি পাতা (https://www.facebook.com/bdfactcheck/) আছে৷ আলোচনা সভা, সংবাদ সম্মেলন, জনসভা ও গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই করে বিডি ফ্যাক্ট চেক। এছাড়া সামাজিhttps://www.facebook.com/factkhuji/ক মাধ্যমে যেসব ভুয়া সংবাদ, ছবি কিংবা ভিডিও ভাইরাল হয় সেগুলোরও ফ্যাক্টচেক করে তারা।
ফ্যাক্ট খুঁজি
এটি বাংলাদেশের আরেকটি ফ্যাক্ট-চেক করা ওয়েবসাইট। http://factkhuji.org/ ওয়েবসাইটের পাশাপাশি তাদের একটি ফেসবুক পাতাও https://www.facebook.com/factkhuji/ আছে।