আজ পবিত্র শবে বরাত

  © সংগৃহীত

আজ বৃহস্পতিবার রাতে পবিত্র শবে বরাত। হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাতটি মুসলমানরা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে। এই মর্যাদাপূর্ণ রাতে মহান আল্লাহ বান্দাদের জন্য তার রহমতের দরজা খুলে দেন।

মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকবেন। অনেকে রোজা রাখেন, দান-খয়রাত করেন। অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করবেন।

ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি হালুয়া, ফিরনি, রুটিসহ হরেক রকমের উপাদেয় খাবার তৈরি করা হবে। এসব খাবার বিতরণ করা হবে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে। অনেকে রাতভর ইবাদত করে ভোরে কবরস্থানে যাবেন। চিরনিদ্রায় শায়িত আপনজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করবেন।

তবে এবার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে মসজিদে না যেয়ে ঘরে ইবাদত করার আহ্বান জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। অন্যান্য বছর ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মিলাদ ও জিকির-আসগারসহ অন্যান্য কর্মসূচি আয়োজন করলেও এবার কোনও আয়োজন করা হয়নি। যদিও মুসল্লিদের ঘরে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

গত ৬ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা জরুরি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুধু মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমরা মসজিদে নামাজ আদায় করবেন। এ নির্দেশনা অমান্য করলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে পরিত্রাণ কামনা করে পবিত্র শবে বরাতে বিশেষ দোয়া করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। একইসঙ্গে কবরস্থান ও মাজারে জনসমাগম না করার আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ বলেন, ইতোপূর্বে লক্ষ্য করা গেছে যে, পবিত্র শবে বরাতে জিয়ারতের জন্য কবরস্থান ও মাজারে অনেক লোকের সমাগম হয়। এছাড়া কবরস্থান ও মাজারের ভিতরে ও বাইরে অনেক ভিক্ষুক, অসহায়, অসচ্ছল, প্রতিবন্ধী ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি সাহায্যের জন্য সমবেত হয়। এ ধরনের জনসমাগমের কারণে করোনা ভাইরাস ব্যাপক হারে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এমতাবস্থায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে শবে বরাতে কবর জিয়ারত করতে কবরস্থানে না গিয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করে মৃত আত্মীয়-স্বজনের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে আহ্বান করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ