২১ জুন ২০২৫, ১১:৪২

‘এক কলেই থামবে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ’

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ  © সংগৃহীত

ইরানের সঙ্গে কূটনীতি সহজেই আবার শুরু করা যেতে পারে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল সরকারকে তেহরানে হামলা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তা মাজিদ ফারাহানি শুক্রবার (২০ জুন) সিএনএনকে এই কথা বলেছেন। 

মাজিদ বলেন, ইরান বেসামরিক সংলাপে বিশ্বাস করে, সেটা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হোক তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইরানের এই কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলিদের শুধু একটি কল দেওয়ার মাধ্যমেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সহজেই এই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন।

ইরানে ইসরায়েলি হামলা বন্ধ না হলে আলোচনা নিয়ে তেহরানের অবস্থান পাল্টাবে না বলে জানান মাজিদ। তিনি বলেছেন, ইরান পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে রাজি হবে না। তবে ছাড় দেওয়া সম্ভব বলে জানান মাজিদ। 

ইতোমধ্যে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র যুক্ত হবে কি না, এই বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এই প্রসঙ্গে মাজিদ বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে অংশ নেয়, তাহলে অনেক অপশন আছে এবং সব বিকল্পই টেবিলে রাখা আছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জেনেভায় ইউরোপীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। ইউরোপীয় দেশগুলো (যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) তাকে কূটনৈতিক আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বান জানায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা পুনরায় শুরুর ব্যাপারে।

আরও পড়ুন : মধ্যপ্রাচ্যে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী সবচেয়ে বড় রণতরি

আরাগচি স্পষ্ট করে বলেন, ‘ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হলে আমরা কোনও কূটনৈতিক আলোচনা করব না।’

তিনি দাবি করে বলেন, ‘ইরানের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং আত্মরক্ষার অধিকার আন্তর্জাতিক আইনে বৈধ। আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না।’

এদিকে গতকাল শুক্রবার তেহরানের রাস্তায় সরকারপন্থী বিশাল বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ওপর ক্ষুব্ধ।

সিএনএনের একটি টিম জানিয়েছে, তারা এই বিক্ষোভ দেখেছেন। বিক্ষোভকারী ইরান, হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনের পতাকা নাড়িয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। সেই সঙ্গে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি পতাকা পুড়িয়ে দিয়েছেন।    

এক নারী সিএনএনকে বলেন, ‘ট্রাম্প, আপনি আমার নেতাকে হুমকি দিচ্ছেন, আপনি কি জানেন না আমার জাতি বিশ্বাস করে যে মৃত্যু মধুর চেয়েও মিষ্টি?’