২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৪৫

এ আর রাহমানের দাম্পত্য জীবনে এল বড় ধাক্কা

এ আর রাহমান ও সায়রা বানু  © সংগৃহীত

প্রায় তিন দশকের দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক এ আর রাহমান ও সায়রা বানু। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এ ঘোষণার পর থেকেই আলোচনা চলছে, হঠাৎই কেন এমন ঘোষণা দিলেন এই দম্পতি। বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে কী লিখলেন তারা? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে বিস্তারিত।

বিচ্ছেদের খবর জানিয়ে এ আর রাহমান আর সায়রা বানু যে বিবৃতি দিয়েছেন, মোটাদাগে সেখানে কারণ হিসেবে ‘মানসিক দূরত্ব’কে উল্লেখ করেছেন তারা।

বাংলাদেশ সময় গতকাল দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে এ আর রাহমান এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘ভেবেছিলাম আমরা ত্রিশে পৌঁছাব। কিন্তু মনে হয় সবকিছুরই এমন শেষ আছে, যা আগে থেকে বোঝা যায় না। ভাঙা হৃদয়ের ভার স্রষ্টার সিংহাসনও কাঁপিয়ে দিতে পারে। ভঙ্গুর পরিস্থিতিতে সবকিছুর অর্থ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছি। যদিও ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের টুকরাগুলো আর আগের জায়গা ফিরে পেতে না-ও পারে।’

বন্ধুদের উদ্দেশে রাহমান আহ্বান বলেন, ‘আমাদের জীবনের এই ভঙ্গুর অধ্যায়ে মহানুভবতা ও আমাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি সম্মান জানানোয় আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।’

এর আগে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে রাহমানের স্ত্রী সায়রা বানুর একটি বিবৃতি ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আনেন তার আইনজীবী।

আরও পড়ুন: থানা ঘিরে ফেলল ২০০ বানর, উদ্ধারে ডাকা হলো অন্য বাহিনী

আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ জানিয়েছেন, বিয়ের বহু বছর পর স্বামী এ আর রাহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সায়রা বানু। তাদের সম্পর্কের মধ্যে মানসিক চাপের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। একে অপরের প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসা সত্ত্বেও এই দম্পতি লক্ষ করেছেন, তাদের মধ্যে দিন দিন দূরত্ব তৈরি হয়েছে। অনেক ব্যবধান, যা এই মুহূর্তে কোনো পক্ষই পূরণ করতে সক্ষম নয় বলে মনে করছেন তারা। উভয়েই আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন মিটিয়ে নিতে, কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি।

সায়রা বানুর ভাষ্য, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া তার পক্ষে মোটেও সহজ ছিল না। অনেক ব্যথা ও যন্ত্রণা থেকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে আইনজীবী অনুরোধ করেছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে যেন সায়রাকে বিব্রত না করা হয়। তিনি মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে ইতি টানা সহজ নয়।’

১৯৯৫ সালে এ আর রাহমান ও সায়রা বানুর বিবাহ হয়। তাদের তিন সন্তান খাদিজা, রাহিমা ও আমিন। তাদের বড় মেয়ে খাদিজা ২০২২ সালে বিয়ে করেছেন।