লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতি

ছবি
ছবি  © সংগৃহীত

ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে লড়াই বৃদ্ধি পাওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইইউসহ মিত্ররা লেবাননে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। তারা একটি কূটনৈতিক মীমাংসার জন্য এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি বিষয়ে কথা বলার জন্য অবিলম্বে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ ১১টি শক্তিশালী জোট বা ব্লকের সদস্যরা ' কূটনৈতিক মীমাংসার পৌঁছানোর অংশ হিসেবে কূটনীতির উপায়ে আলোচনা এবং সমাধানের পথ তৈরির জন্য এমন পদক্ষেপ নিতে চাইছে। একটি যৌথ বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, এমন শত্রুতা এবং সংঘাত 'অসহনীয়' এবং 'বড় পরিসরে আঞ্চলিক সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার একটি অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকি উপস্থাপন করছে, যা আদতে ইসরায়েল বা লেবাননের জনগণের স্বার্থে নয়।

ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সৈন্যদের বলেছেন যে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা পরবর্তীতে তাদের শত্রু অধ্যুষিত অঞ্চলে ঢুকার পথ তৈরি করে দেবে। তার এমন ঘোষণার পরই মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ৪৯২

এদিকে লেবাননে অব্যাহত বিমান হামলার পাশাপাশি এবার স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। স্থল অভিযান চালাতে উত্তর ইসরায়েলে সামরিক বাহিনী একটি মহড়া শুরু করে। চলমান মহড়া পরিদর্শন করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সম্প্রতি গাজা উপত্যকা থেকে লেবানন সীমান্ত স্থানান্তর করা ‘সাঁজোয়া বহরের যোদ্ধা ও প্যারাট্রুপারদের’ সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।

গ্যালান্ট আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিজেদের বাড়িতে ফেরানোর লক্ষ্য অর্জনে আমরা যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে ইচ্ছুক।’

এদিকে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছিল ইসরায়েল। হামলা থেকে বাদ যায়নি রাজধানী বৈরুতও। গতকাল ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হন। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় ৫৬৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫০ শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় দুই হাজার।

এর আগে, গত সপ্তাহে লেবাননের হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহার করা হাজার হাজার পেজার ও ওয়াকি-টকিতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের এই ঘটনায় লেবাননে ৪০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে; যাদের মধ্যে হিজবুল্লাহর অন্তত ১৬ সদস্য ছিলেন। এই বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলকে ব্যাপকভাবে দায়ী করেন হিজবুল্লাহ। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির যোগাযোগের যন্ত্রে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। এর মাঝেই ২৩ সেপ্টেম্বর লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় একাধিক শহরে একযোগে বিমান হামলার ঘটনা ঘটে।


সর্বশেষ সংবাদ