জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়বে ৪০ শতাংশ

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়বে ৪০ শতাংশ
২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়বে ৪০ শতাংশ  © সংগৃহীত

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া হলেও ২০৩০ সালের মধ্যে বিপর্যয়ের পরিমাণ ৪০ শতাংশ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসবিষয়ক দপ্তর ইউএনডিআরআর।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসকরণ ইস্যুতে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ।

সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে ইউএনডিআরআরের এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান মার্কো তোসকানো-রিভালতা বলেন, ‘এ শক্তিশালী অনুমান ইঙ্গিত দেয় যে, ২০১৫ সালে দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর জন্য বিশ্বব্যাপী সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্কে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম, তা থেকে আমরা সরে যাচ্ছি।’

‘সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন’ একটি বৈশ্বিক চুক্তি, যা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে দুর্যোগ পরিকল্পনা, মোকাবিলা ও পুনর্বাসনে সহায়তার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।

আঞ্চলিক দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি ও সাড়া দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে রিভালতা বলেন, ‘মৌলিক বিষয় হচ্ছে, আমাদের (দুর্যোগ) মোকাবিলা ও ঝুঁকি কমানোর কার্যক্রম দ্বিগুণ করতে হবে।’

দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে সম্মিলিত পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করতে আগামী অক্টোবরে ফিলিপাইনে এপিএমসিডিআরআর সদস্যদের নিয়ে আরও একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দুর্যোগের ঝুঁকি কমানো ও ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা বাড়াতে টেকসই ও প্রত্যাশিত অর্থায়ন নিশ্চিত করা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ঝুঁকি কমানো, সিদ্ধান্ত নেওয়া ও বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, স্থানীয় পর্যায়ে দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর সমন্বয় এবং আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে।

সম্মেলনে ফিলিপাইনের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের সেক্রেটারি মারিয়া অ্যান্তোনিয়া ইউলো লোয়জাগা বলেন, ‘এপিএমসিডিআরআর-২০২৪ আমাদের একত্র করেছে। এখান থেকে আমরা যা শিখলাম, তা সঙ্গী করে এগিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করার সুযোগ দিয়েছে এ সম্মেলন।’

‘এ সম্মেলন আমাদের অগ্রগতি বজায় রাখতে আমাদের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে সম্প্রদায় ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় নিজেদের প্রতিশ্রুতি জোরদার করার একটি সুযোগ’ বলেও মন্তব্য করেন ফিলিপাইনের এ কূটনীতিক।


সর্বশেষ সংবাদ