কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল তিন চাকরিপ্রার্থীর
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৪, ১২:৫২ PM , আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৪, ১২:৫২ PM
ভারতের দিল্লির ওল্ড রাজেন্দ্রনগরের আইএএস কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তিনজন ইউপিএসসি চাকরিপ্রার্থীর। সে ঘটনার পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অন্য প্রার্থীরা। বেআইনিভাবে চলছিল আইএএস তৈরির ‘কারখানা’। অনুমোদন ছাড়াই বেসমেন্টে লাইব্রেরি খোলা হয়েছিল- দিল্লির ওল্ড রাজেন্দ্রনগরের আইএএস কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে। সেখানে পানিতে ডুবে তিন পড়ুয়ার মৃত্যুর পর এমনই অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ইউপিএসসি প্রার্থীরা।
তাদের দাবি, কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে সুরক্ষা সংক্রান্ত বিধি মানা হয়নি। তারপরও প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। সেই গাফিলতির জন্যই তিন চাকরিপ্রার্থীর প্রাণ গেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অন্যরা। দিল্লি সরকার, দিল্লি পুরসভা এবং সংশ্লিষ্ট আইএএস কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তারা। স্লোগান তুলেছেন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস।’
শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ দিল্লির ওল্ড রাজেন্দ্রনগরে একটি কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে পানি ঢুকে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, সে সময় কোচিং সেন্টারের মধ্যে প্রায় ৩০ জন পড়ুয়া ছিলেন। ১৩-১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়। বাকিটা নিজেরা বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। তবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আরও দু’জনের মরদেহ মেলে।
মৃতদেহ উদ্ধারের পরই ক্ষোভে পড়েন অন্য ইউপিএসসি প্রার্থীরা। আইএএস ‘তৈরির কারখানা’ হিসেবে পরিচিত ওল্ড রাজেন্দ্রনগরে সেই কোচিং সেন্টারের সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এক ইউপিএসসি প্রার্থী বলেন, প্রশাসনের তদন্ত করা উচিত। কারণ এখানে বেসমেন্টে যা যা খোলা হয়েছে, তা বেআইনিভানে চলবে। সুরক্ষার কোনও বালাই নেই। দিল্লি পুরসভা কীভাবে নকশায় অনুমোদন দিয়েছে? এখন তদন্ত করা হোক। যাঁদের গাফিলতি ধরা পড়বে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরো পড়ুন: গাজায় বিদ্যালয়ে ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ নিহত ৩০
এক ইউপিএসসি প্রার্থী জানিয়েছেন, জলের স্রোত এতটাই বেশি ছিল যে তাঁরা সিঁড়ি থেকে উঠতে পারছিলেন না। বেসমেন্টে ১০-১২ ফুট পানি দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দড়ি ফেলা হয়েছিল। কিন্তু পানি এতটাই নোংরা ছিল যে কিছুই দেখা যাচ্ছিল। অপর একজন জানান, গতবারও বৃষ্টির সময় জলের তলায় চলে গিয়েছিল পুরো বেসমেন্ট। ক্লাস বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। হিন্দুস্তান টাইমস।