এক গুলিতেই দাদির মৃত্যু, নাতি আইসিইউতে

এক গুলিতেই দাদির মৃত্যু নাতি আইসিইউতে
এক গুলিতেই দাদির মৃত্যু নাতি আইসিইউতে  © সংগৃহীত

রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী এলাকার একটি বাসার মূল ফটকের ভেতরে সাত বছর বয়সী নাতি মুসাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মায়া ইসলাম (৬০)। সে সময় বাসার বাইরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ চলছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ করে লুটিয়ে পড়েন শিশু মুসা খান।

নাতিকে নিয়ে টেনে উপরে উঠছিলেন দাদী। কিন্তু তখনো বুঝতে পারেন নি একই গুলি এসে লেগেছে তার তলপেটে। একটু পর মায়া ইসলামও সিড়িতে লুটিয়ে পড়েন।

শিশু মুসার মা জানান, একটি গুলি এসে প্রথমে গেটে লেগে পরে মুসার মাথার ওপরের অংশ ভেদ করে তার দাদীর পেটে লাগে। পরে দাদী-নাতীকে উদ্ধার করে প্রথমে বনশ্রী এলাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান তিনি। আর সেখানেই আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে শিশু মুসা। সে বনশ্রীর একটি স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমে নার্সারিতে পড়ে।

মুসার বাবা মোস্তাফিজুর রহমান রাজধানীর মালিবাগ বাজারে ইলেকট্রনিকের একটি দোকান চালান। তাঁর গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায়। তিনি জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর মুসার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। তিন দিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। চেতনা ফেরার পর ওয়ার্ডে দেওয়া হলেও সে কথা বলতে পারছে না।

মোস্তাফিজুর রহমান আরও জানান, তার মা মায়া ইসলামকে প্রথমে বনশ্রীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেন পথচারীরা। পরদিন সকালে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ