রাইসির টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচার হলো কোরআনের তিন আয়াত

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি  © সংগৃহীত

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানসহ হেলিকপ্টারটির সব আরোহী দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে। মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত হওয়ার পর সৈয়দ ইব্রাহিম রাইসি নামক ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্ট (আগের নাম টুইটার) থেকে পবিত্র কোরআনের সুরা আস-সাফফাতের ৩টি আয়াত প্রচার করা হয়।

সোমবার (২০ মে) বেলা ১১টার দিকে পবিত্র কোরআনের ৩৭ নম্বর সুরা আস-সাফফাতের ১০৯-১১১ নং আয়াত প্রচার করা হয়। 

আয়াতগুলো হলো-

 سَلَامٌ عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ

كَذَٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ

إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ

অর্থ : ইব্রাহীমের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। নিশ্চয় আমি এইভাবে সৎকর্মপরায়ণদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। নিশ্চয় সে আমার মুমিন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত (সুরা (সাফফাত: ১০৯-১১১)।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনির পর ইসলামিক রিপাবলিকের রাজনৈতিক কাঠামোতে রাইসি ছিলেন দ্বিতীয় শক্তিশালী ব্যক্তি।

রোববার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের একটি বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি–আব্দোল্লাহিয়ানসহ তাদের সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে গতকাল বলা হয়, ফেরার পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়। তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ইব্রাহিম রাইসিকে মনে করা হয় একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন।

ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন রাইসি। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।

প্রেসিডেন্ট রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নির্বাচনসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এ সভা। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে তিনি ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।


সর্বশেষ সংবাদ