নির্বাচনে অংশ নেয়া পিটিআই নেতাকে গুলি করে হত্যা

পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাওয়ালপিন্ডি শহরের সিভিল লাইন এলাকায় এ ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত ওই নেতার নাম চৌধুরী মুহাম্মদ আদনান। এবারের নির্বাচনে জাতীয় পরিষদের রাওয়ালপিন্ডির এনএ–৫৭ আসন এবং পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের পিপি–১৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। এর আগে ২০১৮ সালে পিটিআই থেকে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

রাওয়ালপিন্ডি পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, প্রাথমিক তদন্ত থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে মুহাম্মদ আদনানকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে আদালতের সামনে হাজির করা হবে।

এর আগে গেল শুক্রবার ভোট কারচুপির অভিযোগে খাইবার পাখতুনখাওয়ার শিংলা এলাকায় পিটিআই নেতা–কর্মীদের বিক্ষোভের সময় গুলি চালায় পুলিশ। এ সময় দুজন নিহত হন। গুলিতে আহত হন আরও ১২ জন।

গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে সাধারণ পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নানা দমন–পীড়নের মধ্যে থেকেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই–সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চমক দেখা যায় এ নির্বাচনে। তবে কোনো দলই এককভাবে সরকারের গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

ভোটগ্রহণ শেষে প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শুক্রবার ভোর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা শুরু করে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে একটি আসনে ফল স্থগিত থাকার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। ফলে ২৬৪ আসনে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪ আসন।


সর্বশেষ সংবাদ