হাসপাতালে দেখতে গিয়ে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গান শুনলেন মমতা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৩ AM , আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৬ AM
প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গুরুতর অসুস্থতার খবরে সোমবার এসএসকেএম হাসপাতালে তাকে দেখতে যান পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সময় এই শিল্পী তার বিখ্যাত গান ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি গেয়ে শোনান। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের সেই গান নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে পোস্ট দেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘প্রতুল দা থেকে আমি বাংলা গান গাই শোনা সবসময়ই একটি আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। আজ এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর সাথে দেখা করার সময়, এই গানের সাথে তাঁর সুরেলা কণ্ঠ শুনে আমার অকৃত্রিম আনন্দ হয়েছিল। আমি ভাগ করে নিতে পেরে খুশি যে সে উন্নতি করছে।’
বেশ কিছু দিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শিল্পী। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যা, নিউমোনিয়া, ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছেন। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে মুখ্যমন্ত্রী তাকে দেখতে যান। এ সময় দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের খুব জনপ্রিয় হওয়া গানের মধ্যে অন্যতম হল ‘আমি বাংলায় গান গাই’। এই গান বাঙালির অন্তরে জায়গা দখল করে নিয়েছে। বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখার কথা বলে এই গান।
বাংলা চলচ্চিত্র ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’-এ প্লেব্যাক করেছেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তাঁর অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’ (১৯৮৮), ‘যেতে হবে’ (১৯৯৪), ‘ওঠো হে’ (১৯৯৪), ‘কুট্টুস কাট্টুস’ (১৯৯৭), ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ (২০০০), ‘তোমাকে দেখেছিলাম’ (২০০০), ‘স্বপনপুরে’ (২০০২), ‘অনেক নতুন বন্ধু হোক’ (২০০৪), ‘হযবরল’ (২০০৪), ‘দুই কানুর উপাখ্যান’ (২০০৫), ‘আঁধার নামে’ (২০০৭)।
বাংলাদেশে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২০১১ সালের মার্চে। অ্যালবামটির নাম ‘আমি বাংলায় গান গাই’। প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে তৈরি হয়েছে তথ্যচিত্র—অন্বেষণ প্রযোজিত ও মানস ভৌমিক পরিচালিত ‘প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গান’ এবং সমকালীন চলচ্চিত্র প্রযোজিত ‘ডিঙা ভাসাও’।