ছাত্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি তুলে বহিষ্কার হলেন সেই শিক্ষিকা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:২১ PM , আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:২৬ PM
‘শিক্ষামূলক ভ্রমণে’ গিয়ে ছাত্রের বাহুলগ্না হয়ে ছবি তোলার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে ওই ছাত্রের সঙ্গে মা-ছেলের সম্পর্ক বলে দাবি শিক্ষিকার।
ঘটনাটি ভারতের কর্নাটক রাজ্যের। ওই শিক্ষিকা সে রাজ্যের মুরুগামাল্লা চিক্কাবল্লাপুর জেলার এক সরকারি স্কুলে পড়ান। সম্প্রতি ওই স্কুল থেকে পড়ুয়াদের শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই ছাত্রের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি তোলেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা।
এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ দাবি করেন ওই ছাত্রের পরিবার। তার পরেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই দৃশ্যের ব্যাখ্যা দেন শিক্ষিকা।
জানা গেছে, স্কুলটি মূলত ছেলেদের। দিন কয়েক আগে স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে ‘শিক্ষামূলক ভ্রমণে’ গিয়ে স্থানীয় একটি জঙ্গলে যান প্রধানশিক্ষিকা পুষ্পলতা।অভিযোগ, ভ্রমণের সময় দশম শ্রেণির এক নাবালক ছাত্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন ওই শিক্ষিকা। নিজেদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ক্যামেরাবন্দিও করেন তিনি।
শুক্রবার এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, শিক্ষিকা জানান, তাঁর এবং তাঁর ছাত্রের মধ্যে শুধুই মা-ছেলের মতো সম্পর্ক। বিষয়টিকে অকারণে ভুল ভাবে দেখানো হচ্ছে।
ওই ছাত্রের বাবা-মা প্রধানশিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্লক শিক্ষা আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। প্রধানশিক্ষিকার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়। এই নিয়ে ক্ষোভ জানান অন্য অভিভাবকেরাও।
অভিযোগ পাওয়ার পরেই স্কুল পরিদর্শনে যান ব্লক শিক্ষা আধিকারিক ভি উমাদেবী। তিনি রিপোর্ট পাঠান জেলা শিক্ষা দফতরের সহকারী অধিকর্তাকে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ওই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে পুষ্পলতার কাছে তাঁর এই ধরনের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ কাজের ব্যাখ্যা চাওয়া হলে তিনি দাবি করেন যে, মা-ছেলের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত, তা জানাতেই তিনি ছবিগুলি দিয়েছিলেন। যদিও তাঁর এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হননি স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং জেলার শিক্ষা দফতর।
আবার কেউ কেউ ছাত্রটিকেও সমান দোষী বলে দাবি করে তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কারের আর্জি জানান। আবার কেউ কেউ ছাত্রটিকেও সমান দোষী বলে দাবি করে তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কারের আর্জি জানান।