কোজাক নিজেও চার্লস বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র, বন্ধু না থাকায় ছিলেন হতাশ
চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগের চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৫ জন। হামলাকারী বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন ছাত্র। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালের এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারী হলেন ডেভিড কোজাক। তার বয়স ২৪ বছর। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ডেভিড কোজাক বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালানোর আগে তার বাবাকেও হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালানোর পর কোজাকের দেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেই পাওয়া গেছে। তবে এটা স্পষ্ট নয় যে সে নিজের ওপর নিজে গুলি চালিয়েছে নাকি পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে।
ডেভিজ কোজাকের পরিকল্পনা ছিল একটি স্কুলে হামলা চালানো। সে জন্য টেলিগ্রামে একটি চ্যানেলও খুলে। সেখানে তিনি বলেন, আমি একটি স্কুলে হামলা করে নিজেকে শেষ করে দিতে চাই। সব সময় আমার খুন করতে ইচ্ছা করে।
আরও পড়ুন: জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, আধুনিক চেক ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক হামলা এটি। স্থানীয় সময় দুপুর ৩টার পর স্কোয়ারে চালর্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ভবনে বন্দুক হামলা চালান ডেভিজ কোজাক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের চতুর্থ তলা থেকে গুলিবর্ষণ শুরু করেন।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ হামলার পেছনে কোনো গ্রুপ তাকে ইন্ধন দিয়েছে কিনা সে সম্পর্কে খতিয়ে দেখা হবে। তবে সে দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন এবং তার কোনো বন্ধুও ছিল না।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা বলেছেন, তিনি বৃহস্পতিবার ঘটা এই দুঃখজনক ঘটনার কারণে তার আসন্ন সব কর্মসূচি বাতিল ঘোষণা করেছেন। এই হামলার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, কিছু মানুষ ভবনের জানালা নিয়ে নিচ তলার সানশেডে আশ্রয় নিয়েছেন।